
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতেই আইনের কূটকৌশল নিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছে।
রিজভী বলেন, হামলার সোয়া ৩ বছর পরেও শেখ হাসিনা কখনও বলেননি, পুলিশ জনসভার অনুমতি দেয়নি। হামলার ঘটনায় শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআইকে নিয়ে আসেন। কিন্তু শেখ হাসিনা এফবিআইকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি, এটা সর্বজনবিদিত।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের রেফারেন্স উল্লেখ করে রিজভী বলেন, হামলার পর সোয়া ৩ বছর পর শেখ হাসিনা একেক সময় একেক কথা বলেছেন। খালেদা জিয়া ঘটনার পর শেখ হাসিনাকে দেখতে যেতে সুধাসদনের কোনো সাড়া মেলেনি। এটা তৎকালীন সময় বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এই মামলায় তারেক রহমানের নাম না থাকলেও আইনের কূটকৌশল নিয়ে নাম সম্পূরক চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি আরও বলেন, যে দেশের প্রধান বিচারপতি বন্দুকের নলের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন, প্রধান বিচারপতি ন্যায়বিচার পান না, সেই দেশে বিএনপি নেতারা কী বিচার পাবেন, সেটা জনগণ বোঝে। সরকারের হত্যা, গুম, লুটপাট ও দুর্নীতি ঢাকতেই নির্বাচনের আগে এই মামলার রায় দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহজাহান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ।