1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
গাইবান্ধায় নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে জেলা ছাত্রশিবিরের সৌজন্য সাক্ষাৎ সাদুল্লাপুরে ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই নারী মাদক কারবারী গ্রেফতার বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার আয়োজনে গাইবান্ধায় মানব পাচার শীর্ষক আলোচনা সভা ত‌ারাগ‌ঞ্জের জয়বাংলা বাজারে গণশৌচাগারে তালা: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ পলাশবাড়ীতে খেলার জগৎ মডেল বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বোদা উপজেলা সাংস্কৃতিক পরিষদ ক্ষুদে শিল্পীদের মননে সংস্কৃতির আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে পলাশবাড়ী উয়ন্নন ফোরামের নবগঠিত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ভবন সংকটে থমকে গেছে “দুবলাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের” পাঠদান কার্যক্রম । পীরগঞ্জের ২ নং কোষারাণীগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলনের চলমান দৌরাত্ম তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ

বিশ্বনেতারা চায় আবার যেন ক্ষমতায় আসি: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট হয়েছে : বুধবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৮
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কেউ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কোনো পরামর্শ দেননি। বরং তারা চান, আগামীতেও যেন আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসুক এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হোক।

বুধবার বিকেলে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদান এবং সপ্তাহব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে গত ২১ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। সপ্তাহব্যাপী সেখানে অবস্থান করে ১ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রতিবারের মতো এবারও বাংলায় ভাষণ দেন।

তার ভাষণে চলমান রোহিঙ্গা সংকটে জাতিসংঘ ও মিয়ানমারের মধ্যকার চুক্তির বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক আয়োজিত এক সংবর্ধনায় যোগ দেন।

পাশাপাশি নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এজেন্সির প্রধানদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। এসব আলোচনায় অন্যতম বিষয় ছিল রোহিঙ্গা-সম্পর্কিত।

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে মিয়ানমারের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ইন্টারপ্রেস সার্ভিসেস নিউজ এজেন্সির ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের ২০১৮ সালের ‘আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী আজকের সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সেই সব বিষয় তুলে ধরেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দীর্ঘ পরিকল্পনা আছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ।

এখানে সবাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রতিতে বিশ্বাস করে। যারা এটি নষ্ট করতে চায় তারা বিকৃত মানুষিকতার লোক। এদের ঠেকাতে সামাজিক সচেতনতা ও জনগণকে এগিয়ে আসা দরকার। সাইবার সিকিউরিটি আইন করা হয়েছে যাতে কারো কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কেউ কোনো নোংরামি করতে না পারে। এমনকি কেউ যেনো কোনো কিছু নিয়ে সামাজিক সন্ত্রাস তৈরি করতে না পারে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটি নিয়ে আলোচনা চলছে। কিছু তারা ফেরত নিয়েছে, বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে নেবে। যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে কোনো পরামর্শ দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে কেউ আমাকে কোনো পরামর্শ দেয়নি। বরং যাদের সাথে কথা বলেছি, তারাই আমাকে উইশ করেছে যেন আমি আবার ক্ষমতায় আসি। তাই জনগণ ভোট দিলে আছি, না হলে নাই। সবাই আন্তরিকভাবে চেয়েছে যেন আবার আমরা ক্ষমতায় আসি।

আগামীতে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না এবং কেমন ষড়যন্ত্র মনে করছেন জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ষড়যন্ত্রের একটি উর্বর ভূমি। এখানে সব সময় ষড়যন্ত্র হয়েছে। গত সাড়ে ৯ বছর আমরা ক্ষমতায়। অনেক উন্নয়ন করেছি। কিন্তু এমন কী করেছি যে কারণে আমাদের রিজাইন দিতে হবে, ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে হবে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা চিন্তা করে সরকার পড়ে যাবে, সরকার উৎখাত হবে আর তারা ক্ষমতায় আসবে, তারা সব সময় ষড়যন্ত্র করবেই। আর সেটি চরিতার্থ করতেই দেশে মানুষকে বিপদে ফেলবে। যাদের ব্যক্তিস্বার্থ আর নিজেদের আকাঙ্ক্ষা আছে তাদের একটি ষড়যন্ত্র ছিলো, আছে, থাকবে। সেই জন্য সবাইকে সাবধান থাকতে বলেছি। কারণ বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর থেকে দেশে ১৯ টি ক্যু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ১০ বছরের শাসনামলে দেশের ৬৪ ভাগ মানুষ সন্তুষ্ট। এটা তো আমরা করিনি, আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণার রিপোর্ট। তাহলে অসন্তুষ্ট কারা? আমরা তো দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গঠন করেছি। মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করেছি, তরুণ সমাজকে উন্নত জীবন দিয়েছি। তারপরেও পত্রিকা খুলে দেখি কোথাও এতটুকু এটা হয়নি, ওটা হয়নি, এতেই তাদের আত্মতুষ্টি। কারণ তারা জনগণের জন্য ক্ষমতায় যেতে চায়নি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে যে উন্নতি তার সব কিছুর ভিত্তি তো বঙ্গবন্ধু করে দিয়েছেন। স্যাটেলাইট সমুদ্র বিজয় সবকিছুর ভিত্তি কিন্তু তিনিই গড়ে দিয়ে গেছেন মাত্র সাড়ে তিন বছরে। আমরা ২০০৮ সালে যে ইশতেহার দিয়েছি তার সবগুলোই পূরণ করেছি। দিন বদলের সনদ দিয়েছি, সেই দিন বদল কি হয়নি? এখন দেশের প্রত্যেক সেক্টরে উন্নয়নের জোয়ার বইছে।

এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, বাংলাদেশের ক্রিকেটার লিটন দাস সবাইকে পূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে দেবীর ছবি দিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিল। তীব্র সমালোচনা এবং অশ্লীল গালিগালাজের মুখে ছেলেটি সেটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

এসব মোকাবিলায় আপনি কী পরামর্শ দেবেন। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো মোকাবিলার জন্যই তো আমরা সাইবার সিকিউরিটি আইনটি পাস করেছি। এটা আপনাদের জানা দরকার। যে এই সমস্ত নোংরামি যেন না হয়, সেটা মাথায় রেখেই সাইবার সিকিউরিটি আইনটি করা হয়েছে। প্রত্যেকটা দেশেই এটা একটা বিরাট সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। অনেক জায়গায় সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

পারিবারিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। নানা ধরনের ক্রাইম বা জঙ্গিবাদ এবং পর্ন নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সেজন্য সবাই প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন। আমি তখন জাতিসংঘের অধিবেশনে ব্যস্ত ছিলাম। আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না। কিন্তু, তখন এ কথা শুনেছি। মাঝে মাঝে আমাকে ফেসবুকে এসব চলছে তা দেখানো হয়েছে। আমি দেখেছি। দেখে ব্যথিত হয়েছি। সেই ছেলেটা (লিটন দাস) চমৎকার খেলেছে। তারপরও কেন ছেলেটাকে গালি দেওয়া হলো।’সূত্র-আরটিএনএন

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft