
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে রায়ের তারিখ প্রার্থনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন না করে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সময় প্রার্থনা করায় বুধবার দুদকের প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল এ তারিখ প্রার্থনা করেন।
পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতরে স্থাপিত নবগঠিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান শুনানি শেষে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবেন বলে জানান। একই দিন বিচারকের প্রতি দুই আসামির অনাস্থার বিষয়ে আদেশের দিনও পিছিয়েছে আদালত।
এর আগে বুধবার সকাল ১১ টা ৮ মিনিটে বিচারক বিচারকাজ শুরুর জন্য এজলাসে ওঠেন।
শুরুতে মামলাটির প্রধান অভিযুক্ত খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন। এ ছাড়া সিনিয়র আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান অসুস্থ মর্মে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য সময় আবেদন করেন।
অন্যদিকে দুদকের প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিচারকাজে আদালতকে সহযোগিতা না করার অভিযোগ তুলে মামলাটিতে যুক্তিতর্ক সমাপ্ত ঘোষণা করে রায়ের তারিখ ধার্যের জন্য আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রায়ের তারিখ ধার্যের বিষয়ে এবং বিচারকের প্রতি দুই আসামির অনাস্থার বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে ওইদিন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন।
শুনানিকালে মামলাটিতে কারাগারে থাকা আসামি জিয়াউল হক মুন্নাকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা অপর আসামি মনিরুল ইসলাম খান আদালতে হাজির হন। আর মামলার প্রধান অভিযুক্ত খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর একই বিচারক বিচার বিলম্বের জন্য খালেদা জিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতে আসছেন না উল্লেখ করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪০ (এ) ধারায় তার উপস্থিতি মওকুফ করেন।
ওই আদেশের উচ্চ আদালতে যেতে মামলার অপর দুই আসামি জিয়াউল হক মুন্না এবং মনিরুল ইসলাম খান সময় আবেদন করলে তা বিচারক নামঞ্জুর করায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর তারা বিচারকের প্রতি অনাস্থা প্রদান করেন। ওই অনাস্থার বিষয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর আদেশের দিন ধার্য থাকলেও ওইদিন তা পিছিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছিল আদালত।
মামলাটিতে এ আসামির পক্ষে চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ওই আদালতে লিখিত যুক্তিতর্ক দাখিল করা হয়। তবে তার পক্ষে মৌখিক যুক্তি উপস্থাপন বাকি আছে।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এ মামলায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। মামলার অপর আসামি বিএনপি নেতা সচিব হারিছ চৌধুরী পলাতক।