নিউজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস নতুন একটি রাজনৈতিক দলিল প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, ইসরায়েলকে তারা স্বীকৃতি দেবে না। তবে ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। ওই দলিলে আরও বলা হয়, হামাস কোনও ধর্মীয় সংগঠন নয়। এতে মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাও স্পষ্ট করা হয়েছে। সোমবার দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে হামাস নেতা খালেদ মেশাল আনুষ্ঠানিকভাবে ওই দলিল প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওই রাজনৈতিক দলিল প্রকাশের সময় খালেদ মেশাল বলেন, ‘যত চাপই আসুক, যত সময় লাগুক না কেন, হামাস ফিলিস্তিনের এক ইঞ্চি ভূখণ্ডও দখলদারের হাতে ছেড়ে দেবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘হামাস এখনই পুরো ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড মুক্ত করার নীতি গ্রহণ করে না। তবে এর মানে এ নয় যে, আমরা জায়নবাদীদের পুরোপুরি স্বীকার করে নেবো, অথবা ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন বন্ধ করে দেবো।’
খালেদ মেশাল ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রশ্নে হামাসের অবস্থান সম্পর্কে বলেন, ‘নতুন নীতিতে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনও সুযোগ রাখা হয়নি। তবে আমরা ১৯৬৭ সালের ৪ জুন যে সীমান্ত নির্দেশ করা হয়েছিল, তার ভিত্তিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে আগ্রহী। যার রাজধানী জেরুজালেম, আর সব শরণার্থীরা তাদের নিজ ঘর ফিরে পাবে।’
আন্তর্জাতিক সমর্থনের বিষয়ে মেশাল বলেন, ‘আমরা আমাদের নীতিকে হালকা করতে চাই না, তবে আমরা উদারতা চাই। আশা করছি, নতুন নীতি ঘোষিত হওয়ার পর ইউরোপীয় দেশগুলো আমাদের ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে।’ হামাস নেতা ইসরায়েলের কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের অনশন ধর্মঘটের প্রতিও সংহতি প্রকাশ করেছেন।
১৯৮৮ সালে মুসলিম ব্রাদারহুডের সহযোগী সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠে হামাস। তবে নতুন নীতিগত দলিলে মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সংগঠনটির বিচ্ছিন্নতাকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘হামাস একটি স্বতন্ত্র সংগঠন।’
উল্লেখ্য, হামাসের নতুন রাজনৈতিক দলিলে আরেকটি বিষয় পরিষ্কার করা হয়েছে। ওই দলিলে বলা হয়, হামাসের লড়াই জায়নবাদের বিরুদ্ধে। তা ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে নয়। সেখানে বলা হয়, ‘যে জায়নবাদী ইসরায়েলি নাগরিকরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধেই লড়াই করছি আমরা।