
প্রিজন ভ্যান থেকে আসামি ছিনতাই ও পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দানের মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে পাঁচদিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম এ এইচ তোয়াহা এ আদেশ দেন।
গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম বুধবার বিএনপি নেতা সোহেলকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অপরদিকে তার পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোহেলের আইনজীবী হান্নান ভূইয়া জানান, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাজিরা কেন্দ্র করে হাইকোর্টের সামনে প্রিজন ভ্যানে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিএনপি নেতা সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সোহেলকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। তার বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে সোহেলকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও তার মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি একজন সজ্জন, মৃদুভাষী রাজনীতিবিদ হওয়ার পরও শুধু সক্রিয়ভাবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য তার বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে বিগত কয়েক বছরে। বেশ কিছু মামলায় জামিনের পরে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পরও গত আট মাসে তার বিরুদ্ধে ৭০ থেকে ৮০টি মামলা করা হয়েছে।’