দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, নাটোরের চলন বিলে চাহিদামত সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, এই এলাকায় মানুষ অনেক গবাদি পশু পালন করে থাকেন। দুর্যোগকালে গবাদি পশু রক্ষার জন্য মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হবে।
তিনি আজ নাটোরের চলন বিলে সাম্প্রতিক অতি বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী এ সময় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ খালিদ মাহমুদ, জেলা প্রশাসক শাহিনা আক্তারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময় অতি বৃষ্টি এবং পাহাড়ী ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সমভাবে ব্যথিত। ক্ষতিগ্রস্ত কোন মানুষ যাতে খাদ্যে কষ্ট না পায় এ জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সহযোগিতা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
ইতোমধ্যে নাটোর জেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৩শ’ মেট্রিক টন চাল, নগদ অর্থ, ঢেউটিন এবং ঘর করার জন্য নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এর আগে তিনি নলডাঙ্গা উপজেলার হালতির বিলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখতে যান।
তিনি সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা শোনেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এসময় তিনি হালতির বিলে সদ্য নির্মিত গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন।
মন্ত্রী পরে গুরুদাসপুর উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চান। তাদের দুঃখ-দুর্দশায় শেখ হাসিনা সরকার তাদের পাশে থেকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে বলে মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন। এ সময় তিনি ত্রাণ বিতরণ করেন। বিশেষত ক্ষতিগ্রস্ত পুনর্বাসন এবং বাঁধ নির্মাণে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেন।
উল্লেখ্য, নাটোর জেলায় সিংড়া উপজেলা ৩শ’ হেক্টর জমি অতি বৃষ্টিতে নিমজ্জিত হয় এবং ১২শ’ হেক্টর জমি আংশিক নিমজ্জিত হয়। এখানে ১০টি ঘর সম্পূর্ণ ও ২৮ টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।সূত্র- বাসস