1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ন
৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
সাদুল্লাপুরে ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই নারী মাদক কারবারী গ্রেফতার বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার আয়োজনে গাইবান্ধায় মানব পাচার শীর্ষক আলোচনা সভা ত‌ারাগ‌ঞ্জের জয়বাংলা বাজারে গণশৌচাগারে তালা: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ পলাশবাড়ীতে খেলার জগৎ মডেল বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বোদা উপজেলা সাংস্কৃতিক পরিষদ ক্ষুদে শিল্পীদের মননে সংস্কৃতির আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে পলাশবাড়ী উয়ন্নন ফোরামের নবগঠিত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ভবন সংকটে থমকে গেছে “দুবলাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের” পাঠদান কার্যক্রম । পীরগঞ্জের ২ নং কোষারাণীগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলনের চলমান দৌরাত্ম তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ পলাশবাড়ীতে আলহাজ্ব ফজলুল হক মন্ডলের ইন্তেকাল : দাফন সম্পন্ন গভীর শোক ও সমবেদনা

বিবিসির প্রতিবেদন জাতীয় ঐক্য গড়তে কঠিন শর্ত যুক্তফ্রন্টের, কী করবে বিএনপি?

  • আপডেট হয়েছে : মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদল বিএনপি ও ছোট কয়েকটি দলের একটি যুক্তফ্রন্ট গঠনের যে শর্তগুলো চূড়ান্ত করা হচ্ছে – তাতে কোন ‘একক দলের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত না হওয়া’ এবং ‘জামায়াতকে সাথে না নেবার’ কথা বলা হয়েছে।

এ জন্য ছোট ছোট কয়েকটি দলের দেয়া শর্তের জবাবে তাদের নিজেদের প্রস্তাবনা তৈরি করছে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনকারী প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। শর্তগুলো নিয়ে বিএনপি ঐ দলগুলোর সাথে আলোচনা চালাচ্ছে, দু’পক্ষই তাদের স্ব স্ব শর্ত বা কিছু প্রস্তাব ও আদান প্রদানও করেছে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত নতুন জোট যুক্তফ্রন্ট ঐক্যের জন্যে এসব শর্ত দিয়েছিল। এতে বলা হয়, কোনো একক দলের কাছে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হতে পারবে না এবং ২০ দলীয় জোটে বিএনপির বর্তমান শরিক জামায়াতে ইসলামীকে সাথে রাখা যাবে না।

কিন্তু এসব শর্তের ব্যাপারে বিএনপি শেষ পর্যন্ত কতোটা ছাড় দিতে পারবে- সেই প্রশ্ন অনেকেই তুলছেন।

বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে তারা ‘অনেক বিষয়ে ছাড় দেয়ার ব্যাপারে’ তাদের দলে এবং বিশ দলীয় জোটে আলোচনা করেছেন। এর ভিত্তিতেই বিএনপি তাদের নিজস্ব প্রস্তাবনা তৈরি করছে।

দেশ শাসনে গুণগত পরিবর্তন আনার যে শর্ত এসেছে, তাতে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই। এমন কি সেখানে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনার শর্ত মানতেও বিএনপি এখন রাজি আছে।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বৃহত্তর ঐক্যের আলোচনায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বা রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের ব্যাপারে এখন সেভাবে দ্বিমত নেই।

‘ক্ষমতার ভারসাম্য যেটা, এটাতো আমাদেরও একটা অন্যতম প্রধান ইস্যু। আমরা এর গুণগত পরিবর্তনের কথা বলছি। আমরা স্বাধীন বিচারবিভাগের কথা বলেছি। আইনের শাসনের কথা বলছি। এ বিষয়গুলোতে আমাদের খুব একটা দ্বিমত আছে বলে মনে হয় না।’

বিএনপির অন্যান্য সূত্রগুলো বলছে, ১২ বছর ধরে লম্বা সময় ক্ষমতার বাইরে থেকে বিএনপি যে প্রতিকুল পরিবেশ পার করছে, সেই অভিজ্ঞতা থেকে দলটি এখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনাসহ সংস্কারের বা গুণগত সব পরিবর্তনের পক্ষে এসেছে।

অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্প ধারা, ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য এবং আ স ম আব্দুর রবের জেএসডি ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামের জোট গঠন করে জাতীয় ঐক্যের কথা বলে এসব শর্ত দিয়েছে। তাদের উল্লেখযোগ্য শর্তের মধ্যে রয়েছে, জামায়াতে ইসলামীকে সাথে রেখে কোনো ঐক্য হবে না।

এই জোটের অন্যতম নেতা মাহী বি চৌধুরী বলছিলেন, তাদের শর্তগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার হওয়ার পরই ঐক্য সম্ভব।

‘মূল যে দু’টো পয়েন্টের কথা আমরা বলেছি, এক নম্বর পয়েন্ট বলেছি আমরা, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দিয়ে বিরোধীদলগুলোর মধ্যে একটি জাতীয় ঐক্য হতে হবে।’

‘এবং প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে জামায়াতে ইসলামীর সাথে কোনো ধরনের ঐক্যের ব্যাপারে আমরা কোনোভাবেই রাজি নই।’

মাহী বি চৌধুরী আরও বলেছেন, ‘দ্বিতীয় পয়েন্ট আমরা বলেছি, ক্ষমতার ভারসাম্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য হতে হবে অর্থাৎ কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাক, এমন লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় ঐক্য হওয়ার কোনো অর্থ নেই। তাহলে স্বেচ্ছাচারিতা থেকে বাংলাদেশ কখনও মুক্ত হতে পারবে না । অতীতে আমরা সেটাই দেখেছি।’

ড. কামাল হোসেনও মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে কোনো ঐক্য নয়।

বিএনপি তার ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতকে নিয়ে যে শর্তের মুখে পড়েছে, তাতে দলটির ছাড় দেয়া বেশ কঠিন বলে অনেকে মনে করেন। তবে এই ইস্যুতে তারা এবার কৌশলী হতে পারে বলেও মনে করা হয়।

নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াত নির্বাচনে তাদের দল থেকে এবং দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না। তারা বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়েও নির্বাচন করতে রাজি নয়।

সেই প্রেক্ষাপটে জামায়াত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে পারেন। তবে সেই আসনও ভাগাভাগি হবে এবং তাদের আসনগুলোতে বিএনপি প্রার্থী দেবে না।

এছাড়া যুদ্ধাপরাধী হিসেবে যাদের সাজা হয়ে গেছে, তাদের আত্নীয় স্বজনকেও জামায়াত প্রার্থী করতে পারবে না। এ ধরনের আলোচনা রয়েছে বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে।

দল দু’টির নেতাদের সাথে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বৃহত্তর ঐক্যের ক্ষেত্রে বিএনপি তার ২০ দলীয় জোটকে সম্পৃক্ত করতে চায় না।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট এবং জেনারেল এরশাদের জাতীয় পার্টি যে ভাবে ঐক্য করে, সে ধরণের প্রস্তাব নিয়ে বিএনপি যুক্তফ্রন্টের সাথে আলোচনা করছে।

তবে বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ধরণের জোট বা ঐক্যের ক্ষেত্রে আসন ভাগাভাগির বিষয়টিই শেষ পর্যন্ত বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমেনা মোহসীন বরছিলেন, ‘কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই কিন্তু জোটগুলো করা হয়। এবং একটা আসন ভাগাভাগির ব্যাপার থাকে। যেখানে বৃহৎ দলগুলো একটা শক্তির বলয়টা বাড়ানোর চেষ্টা করে। আর ছোট দল যারা আছে, তারাও তাদের ভিজিবিলিটি বাড়ানোর জন্য আমন ভাগাভগির কথা বার্তা আমরা শুনতে পারি। অতীতেও শুনেছি, এখনও শুনছি। সেভাবেই এগুলো এগিয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘এখানে ঠিক এখন আদর্শিক এরকম ইডিওলজি নিয়েতো কেই সামনে আসছে না। বা আদর্শের জায়গায় যে ঐক্যমত থাকে, সেগুলোতো না।এগুলো ক্ষমতারই একটা বিষয়, এদিক ওদিক।’

নির্বাচনে কোনো দল যাতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, সেটি বিবেচনা করার বিষয়ও বড় শর্ত হিসেবে এসেছে। তবে বিএনপি ছোট দলগুলোর নেতাদের সকলের আসনে ছাড় দিতে পারে বলে মনে হয়।

অন্যদিকে, বৃহত্তর ঐক্যের নেতৃত্ব কে দেবেন, সেই প্রশ্ন এসেছে তাদের আলোচনায়।

বিএনপি নেতারা বলছেন, তাদের দলের নেত্রী খালেদা জিয়া এবং অন্য দলগুলোর শীর্ষ নেতারা যৌথভাবে নেতৃত্ব দেবেন, এই প্রস্তাব নিয়েই তাঁরা অন্যদের সাথে কথা বলছেন।

তারা আরও বলছেন, বিএনপি দুই ভাগে দেখতে চাইছে বৃহত্তর ঐক্যকে। একটি হচ্ছে, অংশগ্রহণমূলক এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থার জন্য ঐক্যবদ্ধবাবে এগুনো আরেকটি হচ্ছে, নির্বাচনের পরে সংস্কারের বিষয়গুলো আনা।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft