
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপির যেসব নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে ভিডিও চিত্র রয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা কাউকে বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করি না। গ্রেপ্তার যারা হচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, তার সবগুলোর প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। তারা যদি কোনোটি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন তাহলে আমরা পরিষ্কার করে বলতে পারব কী অভিযোগে তাকে ধরা হয়েছে। তিনি কী করেছিলেন। কেন তাকে ধরা হয়েছে, তার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। আমাদের প্রচুর সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে। আমরা যাদের ধরছি, তারা নানান অভিযোগে অভিযুক্ত। আমরা কোনো নিরীহ লোককে ধরছি না।
চাঁদাবাজির এক মামলায় বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে আমার দ্বারা কিছু বলা সম্ভব নয়। তদন্তের পরেই আমি বলব, কী হয়েছিল, কেন হয়েছিল।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের মিথ্যাচার ও গুজবে বিশ্বাস না করার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, সত্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্রতিবাদ করুন। আমাদের ভুল ধরিয়ে দিন, আমরা শুধরে নেব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত ক্লিন। তিনি নিজের দলের এমপিদেরও ছাড় দেবেন না। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা ও নৌকার প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানান।
এর আগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
‘সম-অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে’ হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ‘বাংলাদেশ ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ’ এর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয় সকালে। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন নির্মূল কুমার চ্যাটার্জি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত, সাংসদ উষাতন তালুকদার, হিউবোর্ট গোমেজ, অধ্যাপক নিমচন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা বলেন, আগামী নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের ভোট পেতে হলে তাদের দেওয়া সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। এসব দাবি বাস্তবায়নে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ২৮ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন তারা।