1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন
২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা বদলী : নতুন পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম ফুলছড়িতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুইজন আটক পোশাকের রং বদলায়, কিন্তু বদলায় কি পুলিশের আচরণ? গাইবান্ধায় এনসিপির মনোনয়ন ফরম তুলেছেন যারা পলাশবাড়ী পৌর জামায়াতের নির্বাচনী মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ী উপজেলা জাতীয়তাবাদী তারেক জিয়ার প্রজন্ম দলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন রাজশাহীতে বিচারকপুত্র হত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন গাইবান্ধায় বিএনপির প্রার্থীকে বিজয়ী করতে জাসাসের মতবিনিময় সভা আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসব মুখর করতে মাঠ প্রশাসন প্রস্তুত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি-বহির্ভূত ৫৭টি আদেশে ডিপিসি স্থবির—১২ বছরেও প্রথম পদোন্নতি পাচ্ছেন না বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকরা।

আসছে যুদ্ধবাজ ‘কিলার রোবট’, নিষেধাজ্ঞার দাবি

  • আপডেট হয়েছে : মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৮
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

ভবিষ্যতের যুদ্ধে মানুষের জীবন-মৃত্যুর সিদ্ধান্ত চলে যেতে পারে যন্ত্রের হাতে। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের দ্রুত উন্নয়ন ঘটছে। এই প্রেক্ষাপটে এসব অস্ত্র তৈরিতে নিষেধাজ্ঞায় দেশগুলোকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে জাতিসংঘ।

স্বচালিত অস্ত্রকে কীভাবে মানুষ হত্যায় কাজে লাগানো হতে পারে, তা তুলে ধরা হয়েছে ‘স্লটারবোট’ শিরোনামের একটি ফিকশনাল ফিল্মে। এর একটি ক্লিপ ইউটিউবে শেয়ার করেছেন এ ধরনের অস্ত্রের বিরোধিতাকারীরা।

এতে দেখা যায়, একটি লেকচার হলে খুব ছোট ছোট ড্রোন ভো ভো করে ঘুরছে এবং সেখানে থাকা শিক্ষার্থীদের মাথায় গুলি করছে। অতি ক্ষুদ্র এসব ড্রোন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ‘টার্গেট’ শনাক্ত করে।

একবার কাউকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার জন্য প্রস্তুত হলে সে আর পালাতে পারে না। ড্রোনগুলো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এবং তথ্য বিনিময় ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এই ফিকশনে শুধু নির্দিষ্ট একটি ভিডিও শেয়ার করা ব্যক্তিদেরই হত্যা করে তারা।

২০১৭ সালের নভেম্বরে ইউটিউবে পোস্ট করার পর ২৫ লাখ বার এটি দেখা হয়েছে। তাই একে কেবল বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনী হিসেবে মানতে নারাজ স্বচালিত বা স্বয়ক্রিয় অস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে প্রচার চালানো টমাস কুচেনমাইস্টার। তার মতে, এটা বাস্তবে হওয়া থেকে মাত্র ‘এক ধাপ দূরে’।

জার্মান সংস্থা ‘ফেসিং ফাইন্যান্স’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুচেনমাইস্টার। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচালিত ‘স্টপ কিলার রোবটস’ ক্যাম্পেইনের উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছে সংস্থাটি।

নতুন নতুন উদ্ভাবন দেখতে প্রায়ই উইপনস মেলায় যান কুচেনমাইস্টার, সেখানে প্রস্তুতকারীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় স্বনিয়ন্ত্রিত অস্ত্র এরইমধ্যে চলে এসেছে। যেমন, স্বাধীনভাবে সম্ভাব্য টার্গেট শনাক্তকারী রকেট তৈরি হয়েছে। কাকে বা কী ধ্বংস করতে হবে, সে সিদ্ধান্তও তারা নিজেরাই নিয়ে থাকে।

সেগুলো এখনো দৃশ্যত মানুষের হাতে পরিচালিত হলেও গুলিবর্ষণের আদেশ কোনো সৈনিক দিতে পারেন না। এমনকি কেউ সেটাকে আটকাতেও পারে না।

রোবটিক্স ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কর্মরত বড় বড় সংস্থার প্রধানেরা জাতিসংঘের প্রতি লিখিত একটি খোলাচিঠিতে তথাকথিত ‘কিলার রোবটস’-দের বিপদ সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছেন।
অস্ত্র শিল্পে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিকসে অগ্রগতির হাত ধরে ধারাবাহিকভাবে স্বচালিত অস্ত্র ব্যবস্থারেও উন্নয়ন ঘটছে। এখন শিক্ষা গ্রহণে সক্ষম যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে-মানব মস্তিষ্কের মতো সেগুলো কৃত্রিম স্নায়ুবিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা সঞ্চিত করে। একে কাজে লাগানো হচ্ছে অস্ত্র শিল্পে।

আরো দ্রুত গতির ও কাযর্কর অস্ত্র তৈরি হচ্ছে। সেগুলো ব্যবহারকারী সৈনিকদের ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকিও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আর এটাই সেনাবাহিনী চায়।

তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে অস্ত্রের উন্নয়ন কোনো নির্দিষ্ট সীমায় বেঁধে না রাখাতেই বিপত্তি। স্বাধীনভাবে মাইন খুজে তা নিস্ক্রিয়কারী রোবোটকে সবাই স্বাগত জানাবে। কিন্তু নিজের মতো করে ‘টার্গেট’ ঠিক এবং শনাক্ত করে মানুষ হত্যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থি।

বিশ্ব শাসন করবে
সামরিক কর্মকাণ্ডে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে বিপুল অর্থ বিনিয়োগকারী যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইসরাইল ও রাশিয়ার মতো দেশগুলো স্বচালিত অস্ত্রের ওপর নিষধাজ্ঞা আরোপের বিরোধিতা করছে৷

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে একদল স্কুলশিশুর প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের বার্তায় এ বিষয়ে তার মনোভাব স্পষ্ট হয়। তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নেতৃত্বদাতারাই বিশ্ব শাসন করবে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বা চীনই ভবিষ্যতে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার এখন ব্যাপকভাবে প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়াচ্ছে। এসব অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনের মধ্যে থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপ নিয়ে গত এপ্রিলে জেনেভায় সমঝোতা আলোচনায় স্বচালিত অস্ত্রকে একটি ‘ভালো বিষয়’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করেন, যুদ্ধের সময় বেসামরিক নাগরিক হত্যা এবং নিজেদের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এসব অস্ত্র সহায়তা করে।

এর পক্ষে আরো যুক্তি দিয়ে তারা বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে তথ্যের ভারে একজন সৈনিক বিভ্রান্ত হতে পারেন, কিন্তু কম্পিউটার সেগুলো সহজভাবে নিতে পারে এবং তুলনামূলক কম ভুল করে। স্বচালিত অস্ত্রের বিকাশ বন্ধের কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

নিষেধাজ্ঞার পক্ষে
এখন পর্যন্ত ২৬টি দেশ স্বচালিত অস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে। তাদের এই অবস্থানকে সাধুবাদ জানিয়েছে সিভিল সোসাইটি৷ স্বচালিত অস্ত্রের বিরুদ্ধে অ্যামেরিকান ফিউচার অব লাইফ ইনস্টিটিউটের তৈরি করা একটি পিটিশনে ২৩০টির বেশি সংস্থা এবং তিন হাজারের বেশি ব্যক্তি স্বাক্ষর করেছেন।

তাদের মধ্যে টেসলা বস এলন মাস্ক এবং গুগলের দ্বীপ মাইন্ডের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের শীর্ষ উদ্যোক্তা ও গবেষকরা রয়েছেন।

স্বাক্ষরদাতারা প্রাণঘাতী স্বচালিত অস্ত্রের বিকাশে সহায়তা করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি এসব অস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ‘কঠোর আন্তর্জাতিক আইনের আহ্বান জানিয়েছেন’।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft