
ক্ষমতাসীন সরকার বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, কোন মামলার রায় কবে হবে তা নির্ধারণ করেন আইনমন্ত্রী।
আর এটিই দেশের রীতি হয়ে গেছে। বিচারের আগেই রায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আগাম বক্তব্য অগণতান্ত্রিক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার চার্জশিটে খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের নাম ছিল না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ইন্টারপোল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রেড এলার্ট জারি করেছিল।
পরবর্তীতে ইন্টারপোলের প্রধান কার্যালয় প্রয়োজনীয় তদন্ত করে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে তারেক রহমানের কোন সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না পেয়ে গত ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ লিখিতভাবে সেই রেড এলার্ট প্রত্যাহার করে।
রাজনৈতিক কারণে তারেক রহমানকে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সরিয়ে দেয়ার আওয়ামী ইচ্ছা পূরণ হয়নি- হবেও না ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, সরকার তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন ও দুর্বল করার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে বলেই দলীয় একজন নেতাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে মামলার অন্যতম আসামীকে দিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করেছিল।
কিন্তু সেই স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করে মুফতি হান্নান সরকারের ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দিয়েছে। তবে, বিএনপির রাজনীতি থেকে তারেক রহমানকে সরানোর চক্রান্ত সফল হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মিজবাহ প্রমুখ।