
প্রযুক্তি ডেস্ক
জাতিগত ঘৃণা ও ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধের অংশ হিসেবে মায়ানমার সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাং সহ দেশটির একাধিক সেনা কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।
রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যায় মায়ানমার শীর্ষ সেনাদের দায়ী করে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিল ফেসবুক।
সোমবার প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা মুসলমান ও অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে মায়ানমারের সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তারা জড়িত। এতে মিয়ানমারের শীর্ষ ছয়জন সামরিক কর্মকর্তার বিচার হওয়া প্রয়োজন বলে অভিমত দেয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা থামানোর জন্য হস্তক্ষেপ করতে ব্যর্থ হওয়ায় মায়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’র কড়া সমালোচনাও করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে।এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চিও তার সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই সহিংসতা থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সোমবার এক বিবৃতিতে ফেসবুক জানায়, ‘জাতিগত ঘৃণা ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়া এবং ধর্মীয় উত্তেজনা প্রতিরোধে আমরা মায়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মি অং হ্লাং সহ ২০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ফেসবুকে নিষিদ্ধ করছি।’
এতে বলা হয়, ‘বিপুল সংখ্যক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করায় এটা আমাদের বিশাল দায়িত্ব। আমরা মায়ানমারে ফেসবুকের অপব্যবহার রোধে কাজ করে যাচ্ছি। চলতি বছরের শুরু থেকেই মানবাধিকার বিবেচনা করে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর জাতিগত নিধন চালায় মায়ানমারের সেনাবাহিনী। শিশু-নারীও এ নিধনযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি। বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর থেকে প্রাণ বাঁচাতে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যেখানে উদ্বাস্তু-শরনার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে সেখানে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ।