
নাটোরের বড়াইগ্রাম-লালপুর সীমান্তে বাস ও লেগুনার সংঘর্ষে ১৪ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নাটোরের ফায়ার সার্ভিস ও বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি জি এম শামস নুর।
শনিবার বিকাল ৪টার দিকে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কদিমছিলান ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন-লেগুনার চালক নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের আব্দুর রহিম (২৮), লেগুনার যাত্রী বড়াইগ্রামের নারায়ণপুর গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী রজুফা খাতুন (৫০), রুপচাঁদের স্ত্রী শেফালী খাতুন (৩৫), জামাইদিঘা গ্রামের নুরফেল সরদারের স্ত্রী লগেনা বেগম (৫০), টাঙ্গাইলের গোপালপুরের বাসিন্দা আর আর পি ফিড কোম্পানীর কর্মকর্তা রোকন উদ্দিন (৫৫), পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া মীর কামারী এলাকার সালামত উল্লাহর স্ত্রী শাপলা খাতুন (২১)। অপর নিহতদের এখন পর্যন্ত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি জি এম শামস নুর জানান, নাটোর-পাবনা মহাসড়কের চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে লেগুনার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জন মারা যান।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাজশাহীগামী চ্যালেঞ্জার নামের একটি বাসের সঙ্গে স্থানীয় লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রাজ্জাকুল ইসলাম দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সাইদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২০ হাজার এবং আহতদের জন্য ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হবে বলে জানান তিনি।