
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনে কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনে নামবো এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না। আজ ২৫ আগষ্ট শনিবার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের তিস্তার নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন শেষে ইউনিয়নের লালটামার ঈদগা মাঠে নদী ভাঙ্গনরোধে করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন ২৯ গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
এসময় তিনি আরোও বলেন, নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংসদ অধিবেশনের বক্তব্যে তুলে ধরেছিলাম। ইতোমধ্যে এক হাজার জিও ব্যাগ পেয়েছি এবং সেগুলো ভাঙ্গন ঠেকাতে নদী পাড়ে বসানোও হয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। কাজেই এ বিষয়ে আমি আবারোও আগামী সংসদ অধিবেশনে তুলে ধরবো ইন্শআল্লাহ। এতে কাজ না হলে কাফনের কাপড় পরে আমরা সকলে উপজেলা, জেলা ও রংপুর বিভাগসহ ঢাকা শহরে নদী ভাঙ্গনরোধে আন্দোলন করবো। এসময় উপস্থিত জনতা দু’হাত নেড়ে সাংসদের বক্তব্যের সাথে একমত প্রকাশ করেন।
নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও ব্যানারের আয়োজনে ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরোও বক্তৃতা দেন চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফুল মিয়া, নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও সংগঠনের উপজেলা সভাপতি সাদেক হোসেন দুলাল, জাতীয় পার্টির উপজেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল হোসেন, ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন সভাপতি এটিএম মামবুব আলম শাহীন ও স্থানীয় সমাজ সেবক শহিদুল ইসলাম প্রমূখ। এর আগে এমপি নৌকা যোগে নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন।