
‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের আয়োজনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐক্য মঞ্চ তৈরি করার চেষ্টা করছি। এই লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে উৎখাত করবো। তা না হলে আগামী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।’
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘সদ্য সমাপ্ত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নতুন করে প্রমাণিত হল- এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। সেখানে সবকিছু করেছে পুলিশ আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের অবস্থা দেখলে দেশে কোনো সরকার আছে বলে মনে হয় না।’
মওদুদ বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে বিনা শর্তে সংলাপ হতে পারে, ফোনে সংলাপ হতে পারে, অনানুষ্ঠানিক সংলাপ হতে পারে। আবার শোনা যাচ্ছে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপই হবে না। তবে সরকারের পক্ষ থেকে যাই বলা হোক না কেন- আর মাত্র ২-৩ মাস সময় আছে। এর মধ্যে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, সরকার বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসতে বাধ্য হবে।’
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর হতে চললো অরাজক সরকারের। বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় জনগণের কাছে কোনও দায়বদ্ধতা তাদের ছিল না। তার অনেকগুলো উদাহরণ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে উধাও হয়ে গেল। সোনা তামা হয়ে গেল, পাথর ও কয়লা গায়েব হয়ে গেল। অথচ এসব ঘটনায় একজনও গ্রেফতার হল না। সর্বশেষ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলা হল, তাতেও কেউ গ্রেফতার হল না। এর দুটো কারণ থাকতে পারে। এক. এরা সরকারের মদদপুষ্ট মানুষ। দুই. দুপক্ষের জন্য দুই আইন। নিজেদের বেলায় প্রয়োগ হবে না। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জন্য প্রয়োগ হবে।’
সংগঠনের সভাপতি ডা. মো. আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ও দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, আব্দুস সালাম, বাংলাদেশের লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ার ও শাহবাগ থানা কৃষকদলের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।