1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
লালমনিরহাটে দুলুর রোগমুক্তি কামনায় বিএনপির দোয়া মাহফিল গাইবান্ধায় আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন পলাশবাড়ীর হোসেনপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণায় লিফলেট বিতরণ গাইবান্ধায় মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ সাংবাদিক রিকতু প্রসাদের মায়ের পরলোকগমন : শোক ও সমবেদনা ঢাকার সোহরাওয়ার্দীতে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত সম্মেলন: কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে উত্তাল সমাবেশ আমদানির সংবাদে দিনাজপুরে পেঁয়াজের দাম কমেছে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড: বদরগঞ্জে আশরাফুলের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল পলাশবাড়ীতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

দুগ্ধ খামারের গ্রাম সাদুল্যাপুরের শ্রীকলা

  • আপডেট হয়েছে : শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৭
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ দুগ্ধ খামার গ্রামের নাম হিসেবে খ্যাত শ্রীকলা। গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নে অবস্থিত শ্রীকলা গ্রামটি। এই গ্রামে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় উন্নত ফ্রিজিয়ান জাতের প্রায় ৩০-৩৫টি গাভীর দুগ্ধ খামার। এক একটি খামারে রয়েছে ১০-১২টি দুগ্ধ উৎপাদনকারী গাভী। প্রতিটি গাভীর বাজার মুল্য প্রায় ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা। খামার করে তারা হয়েছে স্বাবলম্বী। সাদুল্যাপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরে শ্রীকলা নামের গ্রামটি।

সরজমিন ওই এলাকার দুগ্ধ খামারের গ্রাম থেকে ঘুরে দেখা যায়, শ্রীকলা গ্রামটি আয়তনে ছোট ও অনেকটা মফস্বল এলাকা হিসেবেও পরিচিত। শিক্ষার হারও তুলনামূলকভাবে কম। খামারিদের আলাদা কোন প্রশিক্ষণও নেই। সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগ ও মেধা খাটিয়েই গড়ে তুলেছে এসব দুগ্ধ খামার। ওই গ্রামের মৃত খয়রাজ্জামানের ছেলে আহসান হাবিব (৪০) নামে এক দুগ্ধ খামারি জানান, তার খামারে রয়েছে ১০টি উন্নত জাতের ফ্রিজিয়ান ও সাহিওয়াল গাভী। তার একাডেমিক কোনো খামারের প্রশিক্ষণ নেই। একটিমাত্র গাভীর বাচ্চা দিয়ে ১০ বছর আগে শুরু করেছিলেন তার খামারের যাত্রা। আজ সে অর্ধকোটি টাকার গাভীর মালিক। একইভাবে আবুল হোসেন (লাল মিয়া), মেনহাজ উদ্দিন, সলিম উদ্দিন, আবুল মিয়া, আব্দুস ছামাদ, সাজু মিয়া, আবু তালেব, খয়রাজ্জামান, মোছা. হেলেনা আফরোজ ও মোছা. মেহেন্নেকা বেগম সহ আরও অনেকের খামারে ফ্রিজিয়ান, সাহিওয়াল, লালসিন্ধি ও জার্সি ফ্রিজিয়ান জাতের ২-১০টি করে দুগ্ধ উৎপাদনকারী গাভী রয়েছে। এর বাইরেও পুরো গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আরো অনেক খামার। তাই এই শ্রীকলা গ্রামটি দুগ্ধ খামারের গ্রাম হিসেবেই পরিচিতি লাভ করছে।

খামারী আবুল হোসেন (লাল মিয়া) বলেন, গাভীর বয়স ভেদে প্রত্যেকটি গাভীকে দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০টাকার খাদ্যে দিতে হয়। এর মধ্যে ক্যাটলফিড, ভুষি ও সবুজ ঘাস। এছাড়াও প্রতিদিন ঘাভীকে গোষল দিতে হয়। প্রতিটি গাভী গড়ে দৈনিক ২০ কেজি দুধ দেয়।

আবুল মিয়া নামে এক খামারি জানান, মাত্র ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি বাছুর কিনে তার খামারের যাত্রা শুরু। এখন সে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালিক। তবে দুধের বর্তমান বাজার খুবই কম। সাদুল্যাপুর ব্র্যাক চিলিং সেন্টারে ৩৭ দরে প্রতি কেজি দুধ বিক্রি করেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দুধ বেচার জায়গা নেই। এখন খামার ছেড়ে দিতে দিতে মন চায়। খামারি মেনহাজ উদ্দিন জানান, বর্তমানে খামার করার পরিবেশ নেই। দুধের বাজার একেবারেই কম। দুধ নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে গেলে ৩০-৩৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে হয়। তাই তারা আশেপাশের চা দোকানগুলোতেই ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে দুধ বিক্রি করে থাকেন। দুগ্ধ খামারে গাভীর খাদ্য বিক্রেতা লাল মিয়া জানান, এসব খামারি ব্যাংক থেকে ঋণের সুবিধা পান না। যদি খামারিরা প্রশিক্ষণসহ সহজ শর্তে ব্যাংক থেকে ঋণের সুবিধা পেত তাহলে আরো তাড়াতাড়ি খামারগুলো বিস্তার লাভ করতো। জিও-এনজিও’দের কাছে খামারিদের দাবি তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা। এছাড়া ওই গ্রামে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই এমনকি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পর্যন্তও নেই। এসবের ব্যবস্থা থাকলে এখানকার খামারী আরও স্বাবলম্বি হতে পারতো। তবে খামারীদের অভিযোগ, এ বিষয়ে সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা কোন ভূমিকা পালন করেন না।

 

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft