
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের রিমান্ড স্থগিত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। শহিদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেছিলেন।
তিনি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের সাত দিনের রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন। রিটে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও আবেদন করা হয়েছে। শহিদুল আলমের আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইমলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকররূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন।
রিমান্ড আবেদনে আরো বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন। তবে শহিদুল আলমের পক্ষে আইনজীবী সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। এ দুই আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘শহিদুল আলমকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’ তারা আদালতকে বলেন, ‘শহিদুল আলমকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।’
পরে শহিদুল আলমের আইনজীবী সারা হোসেন সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ‘এই রিমান্ড আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্ট আবেদন করা হবে।’