
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। বিবৃতিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করে পরিবহন খাতে সব নৈরাজ্যের অবসান এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানানো হয়।
শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনটি তাদের পূর্ণ সংহতির কথা জানায়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন বাংলাদেশ, এমনকি বিশ্বের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব ঘটনা। ঘাতক বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর করুণ মৃত্যু নিয়ে নৌমন্ত্রীর অসংবেদনশীল আচরণ ও দায়িত্বহীন মন্তব্য এবং সড়ক নৈরাজ্য অবসানে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে সংশয়ই দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে এ আন্দোলনর মাধ্যমে। এই আন্দোলনের পেছনে সর্বস্তরের জনগণের সমর্থনকে সরকারের জন্যে একটি শক্তিশালী সতর্কবার্তা।
সুজনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং রাজনৈতিক ও নাগরিক শক্তিসমূহের ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতেই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পথে নেমে এসেছে এবং গত কয়েক দিনে তারা রাজপথের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে অভূতপূর্ব জনশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের এই ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থেকে সব মহলেরই শিক্ষা গ্রহণ করা জরুরি। তরুণতর এই প্রজন্মের এই আন্দোলন এবং তাদের দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক কার্যক্রম আমাদের মধ্যে নতুন আশার সূচনা করেছে। এরা যেন ব্যর্থ না হয় তা সরকারসহ সব মহলকেই নিশ্চিত করতে হবে।’
সরকারের উদ্দেশে সুজনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এই আন্দোলন মোকাবিলায় শক্তিপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত সরকারের প্রাজ্ঞতার পরিচায়ক। কিন্তু একই সঙ্গে আমরা উৎকণ্ঠার সঙ্গে লক্ষ করেছি মিরপুর ও বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর সরকার দলীয় সংগঠন ও পুলিশের হামলা। আমরা এসব হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং একই সঙ্গে সতর্ক করতে চাই যে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর এই ধরনের হামলা ও নিপীড়নের ঘটনা সরকারের জন্য আত্মঘাতী হয়েই দেখা দেবে। আরো ধৈর্য, সহনশীলতা ও আন্তরিকতা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা এর অবসানের দাবি জানাই।’