
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার সরকার ঘুষ না পেয়ে একটি মৎস্য সমিতি বাতিল করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কাটাবাড়ী কার্প মিশ্রচাষী দল-২ (সিআইজি) মৎস্য সমবায় সমিতির নেতারা এ ঘটনায় প্রতিকার দাবি করে গতকাল বুধবার গাইবান্ধা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নিকট এই অভিযোগ করেন।
ওই সমিতির সভাপতি ইমদাদুল হক জানান, সমবায় অধিদপ্তরের আওতায় সমিতিটি গত বছর নিবন্ধিত হয়। এরপর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসার প্রদীপ কুমার সরকার সমিতির সদস্যদের পর্যায়ক্রমে দুইবার মৎস্য চাষের ওপর প্রশিক্ষণ করান। প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের সম্মানীভাতাও দেওয়া হয়। এরই এক পর্যায়ে গত ১০ জুন মৎস্য অফিসার প্রদীপ কুমার সরকার তার অধিনস্থ কাটাবাড়ীর মাঠকর্মী সেলিনা খাতুন ও তার স্বামী সাদেকুলের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষের টাকা না দিলে সমিতি বাতিলের হুমকী দেয় তারা। কিন্তু ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় গত ১২ জুলাই ওই সমিতি বাতিল করে উপজেলা মৎস্য অফিসার প্রদীপ কুমার সরকার বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেন বলে জানান ইমদাদুল হক।
এদিকে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাবেক সমবায় অফিসার আনিসুর রহমান জানান, ওই সমিতির নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার মৎস্য বিভাগের নেই। কিন্তু নিবন্ধন বাতিলের চিঠি দিয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসার প্রদীপ কুমার সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তবে ঘুষের দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে প্রদীপ কুমার সরকার জানান, ওই সমিতির সদস্যদের কোন পুকুর না থাকায় সমিতিটি বাতিল করা হয়েছে। তবে মৎস্য অফিসারের বক্তব্যের সূত্র ধরে মঙ্গলবার দুপুরে ওই এলাকায় যাওয়া হলে সমিতির সদস্যদের ছোট ও বড় পুকুর দেখা গেছে।
অপরদিকে, গাইবান্ধা জেলা মৎস্য অফিসার আব্দুর দাইয়ান জানান, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ না পেয়ে মৎস্য সমিতির বাতিলের অভিযোগ পেয়েছি। বিয়য়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।