
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল সুমন মিয়াসহ সংঘবদ্ধ একটি মাদক বিক্রেতা দলের ৭জনকে গ্রেফতার করেছে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত সুমন মিয়া গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানাধীন ভবানীপুর গ্রামের আশেক আলী বিএসসির ছেলে। এ ঘটনায় রবিবার রাতে গ্রেফতারকৃত সুমনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাংবাদিকদের জানান, মাদক সেবনের অভিযোগে উল্লিখিত ৭ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং আদালত ৬ জনার বিরুদ্ধে ৮ হাজার টাকা করে মোট ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে তাদের ছেড়ে দিয়েছেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে রামজীবন ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের ছাগলকাটি মৎস্য খামার এলাকা থেকে মাদকসহ পুলিশ কনস্টেবল, হাইস্কুল ও প্রাইমারী শিক্ষকসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল সুমন মিয়া, একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে এনামুল হক রিজু, সুর্বণদহ গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে আনিছুর রহমান, মোসলেম আলীর ছেলে আব্দুর রহিম, ঘগোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও গাওছল রহমানের ছেলে বেলাল উদ্দিন, হাইস্কুল শিক্ষক ও ভবানীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মশিউর রহমান ও ভবানীপুর গ্রামের আকবার আলীর ছেলে আব্দুল হান্নান।
সুন্দরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম আব্দুস সোবহান গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রেতার অভিযোগ গোপন করে সাংবাদিকদের জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মাদক সেবী পুলিশ কনস্টেবল ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়াও চলছে।
এদিকে সচেতন এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, আদিতমারী থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল ও ভবানীপুর গ্রামের আশেক আলী বিএসসির ছেলে সুমন দীর্ঘদিন থেকে পুলিশে চাকুরির আড়ালে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। একই সাথে হাইস্কুল এবং প্রাইমারীর দুই শিক্ষক সহ আটককৃতরা সুমনের পাচারকৃত মাদকের খুচরা বিক্রেতা ছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের মাদক ব্যবসার বিষয়টি গোপন করে সেবনকারী হিসেবে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করেছে।