1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
গাইবান্ধায় নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে জেলা ছাত্রশিবিরের সৌজন্য সাক্ষাৎ সাদুল্লাপুরে ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই নারী মাদক কারবারী গ্রেফতার বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার আয়োজনে গাইবান্ধায় মানব পাচার শীর্ষক আলোচনা সভা ত‌ারাগ‌ঞ্জের জয়বাংলা বাজারে গণশৌচাগারে তালা: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ পলাশবাড়ীতে খেলার জগৎ মডেল বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বোদা উপজেলা সাংস্কৃতিক পরিষদ ক্ষুদে শিল্পীদের মননে সংস্কৃতির আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে পলাশবাড়ী উয়ন্নন ফোরামের নবগঠিত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ভবন সংকটে থমকে গেছে “দুবলাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের” পাঠদান কার্যক্রম । পীরগঞ্জের ২ নং কোষারাণীগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলনের চলমান দৌরাত্ম তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ

বিতর্কিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লিখিত আদেশ

  • আপডেট হয়েছে : বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৭
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের আনুষ্ঠানিক ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেল। ভারত আর বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগের সংস্থা বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি বা বি.আই.এফ.পি.সি.এল নির্মাণকাজের জন্য নির্বাচিত ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যালস বা ‘ভেল’ কে ‘নোটিশ টু প্রসিড’ অর্থাৎ কাজ শুরু করার লিখিত নির্দেশ দিয়েছে।

খুলনার দক্ষিণে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জায়গাটি সুন্দরবনের কাছে হওয়ায় এর সম্ভাব্য পরিবেশগত ক্ষতি নিয়ে বাংলাদেশে অনেক দিন ধরেই বিতর্ক চলছে। তবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি বলছে এমন আশংকা অমূলক। এখন থেকে ৪১ মাসের মধ্যে রামপালের মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের প্রথম ইউনিটটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে ‘ভেল’কে।

দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য আরও ছ’মাস সময় দেওয়া হয়েছে নির্মাণকারী সংস্থাটিকে। যৌথ উদ্যোগের বিদ্যুৎ সংস্থা বি. আই.এফ.পি.সি.এল. বলছে, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বাংলাদেশের একটা বড় অংশের মানুষে মনে যে প্রশ্ন রয়েছে, বিশেষত সেটি সুন্দরবনের পরিবশ দূষিত করবে কী না, তা অমূলক। কারণ পরিবেশ ধ্বংস হবে না, এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানি বলছে যে আন্তর্জাতিক বিডিংয়ের মাধ্যমে নির্মাণ কাজের জন্য ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা ভারত হেভি ইলেট্রিক্যালসকে দায়িত্ব আগেই দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে যে আগের দিন ভেলকে ‘নোটিশ টু প্রসিড’ অর্থাৎ কাজ শুরু করার লিখিত নির্দেশ দিয়েছে।

রামপালে ৬৬০ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিট তৈরি হবে। তার জন্য দেড় বিলিয়ন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার এই অর্ডার পেয়েছে ভেল। এই কাজের জন্য ভেল ভারতের এক্সিম ব্যাঙ্ক থেকে ঋণও ইতিমধ্যেই পেয়েছে তারা। এই অর্ডারটিকে ভেল বলছে তাদের পাওয়া সব থেকে বড় অঙ্কের রপ্তানিমূলক অর্ডার। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নকশা তৈরি, কারিগরী, বণ্টন, নির্মাণকাজ – এসবের শেষে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে চালু করে দেওয়া – পুরো কাজটাই ভেল করবে।

বি.আই.এফ.পি.সিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল ভট্টাচার্য বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, “প্রথম ইউনিটটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে ৪১ মাসের মধ্যে আর বাণিজ্যিকভাবে সেটিকে চালু করতে হবে ৪৬ মাসে। দ্বিতীয় ইউনিটটি তৈরি করতে আরও ছ’মাস সময় পাবে নির্মাণকারী সংস্থা, অর্থাৎ ৪৭ মাস। সেটি বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়ে যাবে ৫২ মাসের মধ্যে। ভেল-এর সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, সেখানেই এই সময়সীমার উল্লেখ রয়েছে।”

রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির বিরুদ্ধে যে বাংলাদেশের একটা বড় অংশের মানুষের বিরোধিতা রয়েছে, সেটা মানছেন কর্মকর্তারা। কিন্তু পরিবেশ দূষণের সেই আশঙ্কাকে অমূলক বলেই তারা মনে করছেন মি. ভট্টাচার্য।

“সুন্দরবনের পরিবেশের কোনও রকম ক্ষয়ক্ষতি হবে না, এটা নিশ্চিত হওয়ার পরেই আমরা গোটা প্রকল্পটা নিয়ে এগিয়েছি। এছাড়াও ভারত আর বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাগুলির সমান অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে তৈরি যে সংস্থা, সেটি বাংলাদেশের সব আইনকানুন মেনেই প্রতিটা কাজ করছে।”
তিনি আরও জানাচ্ছিলেন, “বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে পরিবেশ দূষণ রোধে যে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে – সেগুলি বাংলাদেশের নিয়মকানুনের থেকে অনেক বেশী কড়া। বিশ্বব্যাঙ্ক এবং ইন্টারন্যাশানাল ফিনান্স কর্পোরেশন বা আইএফসি দূষণ রোধের যেসব মাপকাঠি তৈরি করে দিয়েছে, রামপালের ক্ষেত্রে আমরা সেগুলো মেনে চলছি। এছাড়াও আমাদের আশা যেভাবে নকশা হচ্ছে, তাতে বিশ্বব্যাঙ্কের মাপকাঠির থেকেও দূষণের মাত্রা কম রাখা যাবে।”
যে জার্মান সংস্থাটি প্রযুক্তিগত কনসালটেন্ট হিসাবে কাজ করছে, তাদের কথা উল্লেখ করে মি. ভট্টাচার্য বলছিলেন, জার্মানি এমন একটা দেশ যারা পরিবেশ দূষণ নিয়ে অনেক বেশী কঠোর।

“সেখানকার একটা সংস্থা যখন কোনও নকশা করবে, তারাও যে সেই কঠোর নিয়ম মেনে চলবে, এটাই স্বাভাবিক” – বলেন তিনি। তাই পরিবেশ দূষণ নিয়ে অথবা সুন্দরবন ধ্বংস হওয়া নিয়ে শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতের পরিবেশবিদদের মধ্যেও যে বিরোধিতা রয়েছে, তাকে একরম অমূলক আশঙ্কাই বলে মনে করছেন উজ্জ্বল ভট্টাচার্য। বিবিসি বাংলা

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft