
বিশ্বকাপের এই উত্তেজনায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাসহ ভিনদেশী তারকাদের নিয়ে চায়ের টেবিলে আলোচনার ঝড় চলছে হরহামেশাই। ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও ভূ-রাজনীতি সংশ্লিষ্ট না হলেও বিভিন্ন কারণে এসব দলের সমর্থক দিন দিন বাড়ছে। কেন এই সমর্থন? চলুন দেখে নেয়া যাক এই সমর্থনের পেছনের কাহিনি…
বাবা চাচা করতো তাই করি সমর্থকগোষ্ঠী : এরা বংশানুক্রমে সমর্থক। বাবা চাচা করতো তাই ওদিকেই গেছে। যেমন : আর্জেন্টিনার, ব্রাজিল।
টিভিতে দেখে ভালো লাগা সমর্থকগোষ্ঠী : যে বছর প্রথম টিভি আসলো বাড়িতে তারপর যে বিশ্বকাপ জিতলো সেই চলে আসলো পছন্দের তালিকায়। যেমন : জার্মানি।
বিশ্বকাপ নিতে দেখা সমর্থকগোষ্ঠী : নিজের চোখে প্রথম বিশ্বকাপ জয় করতে দেখার পর সেই দলের প্রতি আসক্ত হওয়া। যেমন : ইতালি, স্পেন।
সম্প্রদায়প্রীতি সমর্থকগোষ্ঠী : এরা প্রথমে থাকে মুসলমান দলের আসক্ত। যেমন : ইরান, তুরস্ক, নাইজেরিয়া। পরে এরা বাদ হলে কাছের দেশকে বেছে নেয়। যেমন : জাপান, কোরিয়া। এশিয়ার দেশ।
ব্যাতিক্রমী অথবা শত্রু সমর্থকগোষ্ঠী : সবাই যা করবে, এরা উল্টো অথবা প্রতিপক্ষ দলকে হারাতে যাকে লাগে তার সমর্থক। যেমন : আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এরা আইসল্যান্ড। ব্রাজিলের বিপক্ষে কোস্টারিকা।
গবেষক সমর্থকগোষ্ঠী : এরা পরিসংখ্যান ইতিহাস ও অন্যান্য তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে দলের সমর্থন দেয়। যেমন : বেলজিয়াম।
‘আব্বায় থাকতো’ সমর্থকগোষ্ঠী : এদের সমর্থন খেলার জন্য না, প্রবাসী বাবা যে দেশে থাকে সে দেশের সমর্থক হয়। পতাকাও টানায়। যেমন : ইউএসএ, অস্ট্রেলিয়া।