
নাটোরের সিংড়ার গৃহবধূ রেজেনা পারভীন রুপালীকে হত্যার দায়ে স্বামী শাহমীম হোসেন ও তার সহযোগী বন্ধু রমিজুল আলমের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম এই আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই পলাতক রয়েছে।
আদালত সূত্র ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার মোস্তফি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে রেজেনা পারভিন ওরফে রুপালী ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর বগুড়া থেকে নিখোঁজ হন। এদিকে ঘটনার তিনদিন পর ২০১৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে সিংড়া উপজেলার বাঁশের ব্রীজ এলাকার একটি ধানের জমিতে কাজ করার সময় সেখানকার শ্রমিকরা জমিতে থাকা খড়ের স্তুপের পাশে একটি মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ সেখান থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
তদন্ত শেষে থানার উপ পরিদর্শক দেবব্রত দাস ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ তারিখে ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গ্রেপ্তারের পর থেকে আসামিরা জেল হাজতে আটক ছিলেন। পরে জালিয়াতি করে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছিলেন।
কিন্তু মামলার বাদি ঘটনাটি আদালতের নজরে নিয়ে আসলে আদালত আসামিদের আইনজীবীকে এ ব্যাপারে কারণ দর্শাতে বলেন এবং নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতকে আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা দেন। এর পর থেকে আসামিরা পলাতক থাকে। পরে পুলিশ অভিযুক্তদের মধ্যে শাহমিম হোসেন ও রমিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন।
দীর্ঘ শুনানীর পর স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশের আদেশ দেন। তবে আদালতের রায় ঘোষণার সময় কোন আসামীই উপস্থিত ছিলেন না। সব আসামী পলাতক রয়েছে।
নাটোর জজকোর্টের পিপি (পাবলিক পসিকিউটার) এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম মৃত্যুদণ্ডাদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলার দন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামী জাল কাগজ তৈরি করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারক এই রায় দিয়েছেন।