
অস্ত্র-মাদক এবং অবৈধ টাকা যেখানে রয়েছে সেখানে অভিযান চালাতে গিয়ে দু’একজন মরতেই পারে। তবে আমরা কাউকে হত্যা করছি না বলে দেশে চলমান অভিযান সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার (৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে বিআইআইএসএস মিলনায়তনে ‘মাদকবিরোধী অভিযান ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বেই মাদকবিরোধী অভিযানে ফায়ারিং হয়ে থাকে। আমরা কাউকে হত্যা করছি না। সেটা আমাদের উদ্দেশ্যও নয়। আমাদের পাঁচটি গোয়েন্দা সংস্থা আলাদা আলাদা তালিকা করেছে। যাদের নাম কমন পড়েছে, তাদের কাছে যাচ্ছে আমাদের আইন প্রয়োগকারী বাহিনী।’
মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিসা বারের ভেতরে নতুনভাবে মাদকের উদ্ভব হচ্ছে। যা যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই কারণে আমরা মাদক আইনের সংশোধন করছি। ওই আইনে সিসাকেও মাদক হিসেবে রাখা হবে। আমরা আইন সংস্কার করে সিসা বারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবো।
তিনি আরও বলেন, মায়ানমারের সঙ্গে ইয়াবা ট্যাবলেটের বিষয়ে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক চুক্তিও হয়েছে। কিন্তু তারা ইয়াবা বন্ধের বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে মায়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সাং সু চির সঙ্গেও কথা বলেছি, কিন্তু কোনো সহযোগিতা পাইনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের কারাগারগুলোতে ৮৬ হাজার মাদক ব্যবসায়ী, বিক্রেতা, মাদক মামলার আসামি রয়েছেন। দেশে অবৈধ মাদক ব্যবসা চলতে দেয়া হবে না। আমরা বর্ডার সিলগালা করে দিয়েছি। সকল বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অভিযানে বিরোধীদলের কাউকে নাকানিচুবানি দেয়ার জন্য কাউকে ধরছি না। কাউকে দমানোর জন্য, প্রতিরোধ করার জন্য এ যুদ্ধ নয়। যুব সমাজ ও দেশকে রক্ষার জন্যই এ যুদ্ধ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. জামাল উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শ. ম. রেজাউল করিম, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান, প্রমিসেস মেডিক্যাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহেদুল ইসলাম হেলাল, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ড. এম এনামুল হক, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম ইমদাদুল হক সহ আরো অনেকে।