
৩ শত কোটি টাকা ব্যয়ে নদী ভাঙ্গন রোধে মেগা প্রকল্প গাইবান্ধার ফুলছড়িতে নদী ভাঙ্গন রোধে এ প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করা হয়। আজ ১ জুন শুক্রবার দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া গণকবর এলাকায় গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষার জন্য নদী তীর সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ডিপুটি স্পিকার এ্যাড.ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি।
উদ্বোধনের এসময় ডেপুটি স্পিকার এ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নদী ভাঙন রোধে বিভিন্ন সময়ে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে ফুলছড়িকে রক্ষা করেছেন। এখন ৩০০ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। আগামী অর্থবছরে আরও ৫০০ কোটি টাকার কাজ বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব কাজ বাস্তবায়িত হলে স্থায়ীভাবে গাইবান্ধায় নদী ভাঙন রোধ হবে। পরে ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের সিংড়িয়া ও কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের বালাসীঘাট এবং বিকেলে সদর উপজেলার বাগুড়িয়া এলাকায় নদী তীর রক্ষার কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
এসব কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এসময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর শেখ আরিফ মোহাম্মদ, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন রাজীব ত্রিপুরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্ল্যাহ আল ফারুক,পৌর মেয়র এ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বশির আহম্মেদ, রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মীর মোশাররফ হোসেন, ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হালিম টলস্টয়, ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান ও গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান সহ জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনরোধ, বালাসি-বাহাদুরাবাদ রুটে ফেরি চলাচলের জন্য নদীতে ড্রেজিং ও জেলাকে বন্যার কবল থেকে রক্ষার জন্য ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি মেরামতে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট এলাকায় ১ হাজার ৩০০ মিটার, রতনপুর-সিংড়িয়া-কাতলামারী এলাকায় ২ হাজার ২০০ মিটার ও গজারিয়ার গণকবর এলাকায় ৭০০ মিটার এবং সদর উপজেলার বাগুড়িয়া এলাকায় ৩০০ মিটার স্থায়ীভাবে (সিসি ব্লক দ্বারা) বাঁধ সংরক্ষণ করা হবে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড কাজ সম্পন্ন করবে।