
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য ইফতার সামগ্রী নিয়ে কারাফটক থেকে ফিরে গেছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ও যুবদলের নেতারা। খালেদা জিয়ার জন্য ফল ও ইফতার সামগ্রী নিয়ে কারাফটক থেকে ফিরে এসেছেন তারা।
শুক্রবার প্রথম রোজার দিন বেলা দুইটা থেকে প্রায় সাড়ে তিনটা পর্যন্ত তারা কারা ফটকে অপেক্ষা করেন। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে অনুমতি না থাকায় তাদের খাবার গ্রহণ করা হয়নি। নেত্রীর জন্য নেয়া খাবারের মধ্যে বেশির ভাগই ফলমূল ছিল। এর মধ্যে ছিল: লিচু, আম, নাসপাতি, আনারস, খেঁজুর, আপেল, আঙ্গুর, হালুয়া ও বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট।
কারা ফটকে যারা গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক মহিলা সাংসদ সদস্য শাম্মি আক্তার, রওশনা ফরিদ, ইয়াসমিন আরা হক প্রমুখ।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হওয়ার পর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন বিএনপি নেত্রী। তাকে বন্দী করার পর থেকে নানা সময় খাবার নিয়ে ফিরে এসেছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের নেতৃত্বে। তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করলাম। কোনোভাবেই খাবারগুলো দিতে পারলাম না। পরে দাঁড়িয়ে থেকে থেকে চলে এলাম।’
আপনাকেরকে কী জানানো হয়েছে, এমন প্রশ্নে মহিলা দল নেত্রী বলেন, ‘জেল গেট থেকে জানানো হয় কারা কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলে খাবারগুলো ভেতরে দেওয়া যাবে। আমরা কয়েকবার জেলারের রুমে যাই। কিন্তু তিনি রুমে ছিলেন না।’
‘তিনি আসবেন বলে অপেক্ষা করতে বলা হয়। দেড় ঘণ্টা ধরে অপেক্ষার পরও আমরা তার দেখা পাইনি। পরে জানতে পারি তিনি আজ অফিসেই আসেননি।’
‘জেল গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের আমরা বলেছি, ভেতরে আমরা যাব না। শুধু খাবার ও ফলগুলো ভেতরে পাঠাব। এ সময় নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, ওনার (খালেদা) স্বাস্থ্যগত কারণে এই জিনিসগুলো দেওয়া যাবে না। যদি আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে কেউ আসতেন তাহলে হয়ত বিষয়টি বিবেচনা করা যেত।’
এদিকে, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা অ্যাডভোকেট দেওয়ান মো. মাহফুজুর রহমান ফরহাদ জানান, আমরা সাড়ে তিনটার দিকে কারাফটকে গিয়েছিলাম। কারা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অনুমতি চাইলে তা দেওয়া হয়নি। কারারক্ষীরা জানায়, ছুটির দিনে দেখা করা যাবে না।
তিনি বলেন, আজ প্রথম রমজান, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে সব কয়েদিদের সঙ্গে স্বজনরা দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন, খাবারও দেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু আমরা নেত্রীর সঙ্গে দেখাতো করতে পারলামই না, ফলগুলো দিতে চাইলেও কারারক্ষীরা ফিরিয়ে দেয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন চৌধুরী লাভলু, মাহতাব আলম, সাইদুর রহমান, নুরুজ্জামান, মোজাম্মেল হক হিমু, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।