1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে আলহাজ্ব ফজলুল হক মন্ডলের ইন্তেকাল : দাফন সম্পন্ন গভীর শোক ও সমবেদনা গাইবান্ধার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে গণমাধ্যমকর্মীদের পরিচিতি সভা গাইবান্ধায় নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সৌজন্য সাক্ষাত ফারিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতিকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে পলাশবাড়ীতে মানববন্ধন গাইবান্ধা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে কমিউনিটি সভা পলাশবাড়ীতে কাকতালীয় ইঞ্জিন বিস্ফোরণ ঘটে প্রাইভেট কার ভস্মীভূত সৌভাগ্যক্রমে কোনো অঘটন ঘটেনি পলাশবাড়ীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস পালনের প্রস্তুতিমূলক এবং আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেডের দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন হাসপাতালের বেড থেকেই লাইভে সংবাদ: পেশার প্রতি দায়িত্ববোধে আলোচনায় সাংবাদিক রবিউল ইসলাম স্বচ্ছতা, সেবা ও সততার প্রতীক হতে চাই – এটিএম আজহারুল ইসলাম

স্টেডিয়ামে আগুন দিল সমর্থকেরা!

  • আপডেট হয়েছে : রবিবার, ১৩ মে, ২০১৮
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

হঠাৎ করেই এমন দৃশ্য দেখলে যে–কারও মনে হবে, খেলার মধ্যে বুঝি দাঙ্গা-ফ্যাসাদ লেগেছে! আসলে তা নয়, বুন্দেসলিগায় নিজেদের ইতিহাসে প্রথম অবনমনের জ্বালা সইতে না পেরে কাল স্টেডিয়ামে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন হামবুর্গ–সমর্থকেরা। কালো ধোঁয়ায় সয়লাব হামবুর্গের ঘরের মাঠ।

গোলপোস্টের সামনে দলা পাকানো অগ্নিকুণ্ড। গ্যালারি থেকে ছুড়ে মারা হচ্ছে একের পর এক বাজি-পটকা। কালো ধোঁয়ায় সয়লাব হামবুর্গের ঘরের মাঠ। হঠাৎ করেই এমন দৃশ্য দেখলে যে–কারও মনে হবে, খেলার মধ্যে বুঝি দাঙ্গা-ফ্যাসাদ লেগেছে! আসলে তা নয়, বুন্দেসলিগায় নিজেদের ইতিহাসে প্রথম অবনমনের জ্বালা সইতে না পেরে কাল স্টেডিয়ামে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন হামবুর্গ–সমর্থকেরা।

বরুসিয়া মুনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে হামবুর্গকে শুধু জিতলেই চলত না, অন্য ম্যাচে কোলনের বিপক্ষে ভলফসবুর্গকে হারতেও হতো। কিন্তু ২-১ গোলের জয়ে নিজেদের কাজটা ঠিকমতো সারলেও ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি। কোলনকে ৪-১ গোলে হারিয়ে হামবুর্গ–সমর্থকদের হৃদয় ভেঙে দেয় ভলফসবুর্গ। এই ম্যাচ শেষ হয়েছে হামবুর্গ-মুনশেনগ্লাডবাখ ম্যাচের আগে। অর্থাৎ গ্যালারিতে বসেই হামবুর্গ–সমর্থকেরা জানতে পারেন, আগামী মৌসুমে আর বুন্দেসলিগায় থাকা হচ্ছে না। ব্যস, এরপরই শুরু হয় নরক গুলজার!

গোলপোস্টের সামনে বড় বড় অগ্নিকুণ্ড ছুড়ে মারেন সমর্থকেরা। এতে কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় স্টেডিয়ামের এক পাশ। মাঠে নেমে পড়ে পুলিশ। ম্যাচটা তাই শেষ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের চেয়েও ১৬ মিনিট দেরিতে। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর পর অনেক হামবুর্গ–সমর্থকই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

তবে দলটির সমর্থকদের একাংশ দুঃখ প্রকাশের এমন ‘ভাষা’ মেনে নিতে পারেনি। মাঠে আগুন লাগানো সমর্থকদের প্রতি তারা চিৎকার করে বলেছেন, ‘আমরা হামবুর্গের জনগণ, তোমরা তা নও! ওদের বের করে দাও!’ এই মৌসুমে হামবুর্গের তৃতীয় কোচ ক্রিস্টিয়ান টিৎজ উন্মত্ত সমর্থকদের নিয়ে বলেন, ‘এটা গুটি কয়েক মানুষের কাজ যাদের স্টেডিয়াম নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই।’

কিন্তু ডর্টমুন্ডের অবনমন নিয়ে সমর্থকদের মাথাব্যথা আছে। বায়ার্ন, ডর্টমুন্ড, শালকে, মুনশেনগ্লাডবাখের মতো অভিজাত দলগুলোর বুন্দেসলিগা থেকে নেমে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিন্তু ১৯৬৩ সালে বুন্দেসলিগা চালুর পর জার্মানির এই শীর্ষস্থানীয় লিগের প্রতি মৌসুমেই খেলেছে হামবুর্গ। ছয়বার জার্মান লিগ জেতা আর ১৯৮৩ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা আগামী মৌসুমে কোলনের সঙ্গে নেমে যাবে দ্বিতীয় বিভাগে। ভলফসবুর্গকে দিতে হবে রেলিগেশন প্লে-অফের পরীক্ষা।

হামবুর্গ কিংবদন্তি এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ–পরবর্তী জার্মানির প্রথম তারকা ফুটবলার উয়ে সিলার তার প্রিয় দলের অবনমনের কষ্ট লুকিয়ে রাখতে পারেননি। সিলার বলেন, ‘হামবুর্গকে ছাড়া বুন্দেসলিগা আমি কল্পনাই করতে পারছি না। জীবনে কখনো ভাবিনি হামবুর্গের অবনমন দেখতে হবে আমাকে।’

১৩০ বছরের পুরোনো ক্লাব হামবুর্গের সাম্প্রতিক মৌসুমের পারফরম্যান্স কিন্তু তেমন একটা ভালো ছিল না। গত চার মৌসুমে তারা অনেকটা ভাগ্যের জোরে অবনমন এড়াতে পেরেছিল। কিন্তু ‘অলৌকিক’ ঘটনা তো আর প্রতি মৌসুমেই ঘটে না! সিলারও মেনে নিচ্ছেন ব্যাপারটা, ‘কয়েক বছর ধরেই আমরা এই অলৌকিক কাণ্ড দেখে আসছি। কিন্তু অলৌকিক কোনো কিছু চিরজীবন থাকে না।’

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft