
বিনোদন ডেস্ক: অবশেষে আদালতের নির্দেশেই মেয়ে সায়রার পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। সোমবার (৩০ এপ্রিল) সকালে দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত এই নির্দেশ দেন। যা কিনা শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা উপমহাদেশে একটি যুগান্তকারী রায়। কারণ এর আগে সন্তানের দায়-দায়িত্ব নেয়ার ক্ষেত্রে সবসময় বাবাদের পক্ষেই রায় হয়েছে। এবারই প্রথম কোনো মা তার সন্তানের পূর্ণ দায়িত্ব পেলেন।
আদালতের এমন রায়ে ভীষণ আনন্দিত ও আপ্লুত বাঁধন। বললেন, আমার জীবনের এই অংশটায় যারা যারা সমর্থন দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে আমার গভীর কৃতজ্ঞতা। আপনাদের নাম নিতে চাই না, শুধু অনুরোধ করবো- মেয়েকে যেন এইভাবেই, আমার নিজের সামর্থ্যে মানুষ হিসেবে বড় করতে পারি, সেই দোয়া করবেন।
বাঁধন আরো বলেন, সততাই যে সর্বোত্তম পন্থা সেটা আবারও প্রমাণিত হলো। নিশ্চিত ছিলাম, সঠিকভাবে আইনকে উপস্থাপন করতে পারলে আইনের সুশাসন যে দেশে এখনো আছে, সেটার প্রমাণ পাওয়া যায়। এই আদেশ পাবার জন্য আমি মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ।
আদালতের নির্দেশ অনুসারে, এখন থেকে সায়রা তার মা বাঁধনের জিম্মায় থাকবে। বাবা মাশরুর মাসে কেবল দুই দিন বাঁধনের বাড়িতে গিয়ে তার উপস্থিতিতে সায়রাকে দেখে আসার সুযোগ পাবেন। তবে সায়রার সর্বোত্তম মঙ্গলের জন্য মা বাঁধনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। এমনকি মেয়েকে নিয়ে বাঁধন দেশ ও দেশের বাইরে যেকোনো জায়গায় যেতে পারবেন বলেও আদালত জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বিচ্ছেদ হয় বাঁধন ও মাশরুর সিদ্দিকীর। এরপর মাশরুর গোপনে বিয়ে করেন এবং একমাত্র কন্যাসন্তান সায়রাকে নিজের কাছে নিয়ে যেতে চান। গত বছর এসব ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমেও অনেক আলোচনা হয়েছিলো। এরপর গত বছরের ৩ আগস্ট মেয়েকে নিজের কাছে রাখার আবেদন জানিয়ে মামলা করেন বাঁধন। সেই মামলার রায়ই দেয়া হয়েছে সোমবার (৩০ এপ্রিল)। এতে তিনি জয়লাভ করেছেন।