
‘আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় ছেলে ও প্রধানমন্ত্রীর অনুজ শেখ জামালের ৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে বেগম জিয়া অংশ নিতে পারবেন কি না তা ঠিক করবেন আদালত। সরকারের কিছুই করার নেই। আদালতের নির্দেশের আলোকে সরকার কাজ করবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়েও আমাদের কিছু করণীয় নেই। তাকে সাজা দিয়েছেন আদালত, মুক্তি দিলেও তারাই দিবেন।
তারেক রহমান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপিই চায় না তারেক রহমান দেশে ফিরে জেল-জুলুম মোকাবেলা করে রাজনীতি করুক। তারও সে সাহস নেই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামিম সহ আরো অনেকে।
আরো পড়ুন…
ভারত অতীতে আমাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি, এবারও করবে না: ওবায়দুল
ঢাকা: আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিজেপি নেতারা। তারা জানিয়েছেন, অচিরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার টানা তিনবারের মতো বিজয়ী হয়ে হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছে।
বিজেপি নেতাদের বিতর্কিত বক্তব্যের পর কথার মোড় ঘোরালেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ ভারত কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। কোনো দেশ আমাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করুক এটা তারা চান না বলেও মন্তব্য করেন ক্ষমতাসীন দলের এই শীর্ষ নেতা।
কাদের বলেন, বিদেশি শক্তি আমাদের বন্ধু হতে পারে। কিন্তু নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে, আমরা তা আশা করি না।
ওবায়দুল আরো বলেন, ভারত অতীতেও আমাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি, এবারও করবে না। তাদের অনেক নেতার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন পার্টির আমন্ত্রণে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে পার্টি টু পার্টি আলোচনা হয়েছে। আমরা সব ইস্যু নিয়ে কথা বলেছি। সেগুলোর মধ্যে সীমান্তচুক্তির জন্য আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছি।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে জেট এয়ারওয়েজ যোগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল।