
দীর্ঘ দিনের প্রেমিক জোবাইদুল হক রিমকে বিয়ে করেছেন ‘আয়নাবাজি’খ্যাত তারকা মাসুমা রহমান নাবিলা। রাজধানীর মহাখালীর একটি কনভেনশন সেন্টারে বৃহস্পতিবার জমকালো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
বিয়েতে দুই পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের তারকাঙ্গনের অনেকেই। বিয়েতে উপস্থিত তারকাদের মধ্যে ছিলেন বন্যা মির্জা, মিথিলা, আশনা হাবিব ভাবনা, আজমাম মাসুদ, ফারহানা নিশো, রুম্মান রশিদ খান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার নবদম্পতি উড়াল দেবেন যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে। তবে হানিমুনে নয়, বরং বর জোবাইদুল হকের প্রাতিষ্ঠানিক কাজে সঙ্গ দিতেই সেখানে যাচ্ছেন এই তারকা অভিনেত্রী।
এর আগে গত সোমবার রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করা হয়। গায়ে হলুদেও উভয় পরিবারের আত্মীয় স্বজন ও ঘনিষ্ঠজন ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন তারকারা।
নাবিলা ১৫ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। সেখানেই বড় হয়েছেন। জোবাইদুল তার ছোট বেলার বন্ধু। তিনিও সৌদিতে ছিলেন। নাবিলা পরে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। পড়ালেখার পাশাপাশি ২০০৬ সালে টেলিভিশনে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা শুরু করেন। অমিতাভ রেজা পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হন।
নাবিলা বলেন, ‘নতুন বছরে সবাইকে শুভেচ্ছা। নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছি, সবাই আমাদের দুজনের জন্য দোয়া করবেন পাত্র জোবাইদুল হক। পেশায় ব্যাংকার।’
নাবিলা জানান, তার প্রথম প্রেম ছিলেন জোবাইদুল হক। কৈশোরে সৌদি আরবের জেদ্দায় জোবাইদুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার।
এ বিষয়ে নাবিলা বলেন, ‘১৮ বছর আগে জোবাইদুলের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয়েছিল। আমার প্রথম প্রেম সে। এখন আমাদের বিয়ে পারিবারিকভাবে হচ্ছে।’
বাবার চাকরির সূত্রে নাবিলার কৈশোর কেটেছে সৌদি আরবের জেদ্দায়। অন্যদিকে, জোবাইদুল হকও ছিলেন জেদ্দায়।
২০০০ সালে সৌদি আরব থেকে ঢাকায় একেবারে চলে আসেন নাবিলা। রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। বাংলাভিশনে ‘এবং ক্লাসের বাইরে’ অনুষ্ঠানে প্রথম উপস্থাপনা করেন নাবিলা। এরপর এনটিভির ‘জানার আছে বলার আছে’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা শুরু করে তিনি। দীর্ঘদিন এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন নাবিলা। এরপর বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে মিডিয়ায় নিজের শক্ত ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন নাবিলা।