গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাউশী বালুচর গ্রামে আম ও লাড্ডু দেওয়ার কথা বলে ৪ বছরের এক কন্যা শিশুকে নির্জনস্থানে নিয়ে হাত, পা, বেধে ও মুখে গামছা গুজিয়ে ধর্ষণ করে এ গ্রামের শ্রী দিনেশের ছেলে অমল (১৬)।
স্থানীয় সূত্রে ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন বিকালে বাড়ী পাশে উঠানে খেলা করছিলো ২ কন্যা শিশু খেলার এসময় ধর্ষক অমল শিশু দুটিকে আম ও লাড্ডু দেওয়া কথা বলে নদীর ঘাটে নির্জনস্থানে নিয়ে যায়। সেখানে একটি শিশু দুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে একটি শিশু দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। অপর শিশুটিকে হাত, পা, বেধে ও মুখে গামছা গুজিয়ে ধর্ষণ করে কিশোর অমল (১৬) । এ ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শিশুর অভিভাবকগণ শিশুটিকে নিয়ে থানায় যায়। থানার পরামর্শে এসময় শিশুটিকে চিকিৎসা প্রদানের জন্য গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। হাসপাতালে ভর্তি পর শিশুটি ডাক্তারি পরীক্ষা জন্য আইনগত জটিলতা কারণে প্রায় ২০ ঘন্টা ডাক্তারি পরীক্ষা স্থগিত থাকে। পরে ফুলছড়ি থানা পুলিশ মামলা আমলে নিলে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষার চালায় সদর আধুনিক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ।
ঘটনার দ্বিতীয় দিন আজ ২৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ২ টায় সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় শিশু ওয়ার্ডের ৫ নং বেডে ঘুমিয়ে আছে শিশুটি। সাংবাদিকদের পথচারণায় কিছুক্ষণ পড়ে শিশুটির ঘুম ভেঙ্গে যায়। এসময় পরিবারের সদস্যরা জানায় শিশুটি নিজেই বলতে পারবে তার সাথে কি আচরণ করা হয়েছে। ওকে তো আমরা জীবিত পেয়েছি ভগবানের দয়ায় হয়তো ফিরে পেয়েছি। তাই এ ঘটনার তদন্তপূর্বক দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ধর্ষণের স্বীকার শিশুটি জানায়, ছোট ছোট করে খেলার সময় ১০ টি আম আর লাড্ডু কিনে দেওয়ার কথা কয় এরপর ঘাটত নিয়ে গিয়ে মুখে গামছা পেচিয়ে পা বাধে, হাত বাধে।
শিশুটির মা জানান,আমার প্রথম কন্যার সহিত যে আচরণ করা হয়েছে অন্যান্য শিশুদের নিরাপত্তায় দোষীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
এরপর শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়ে সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ শাহিন জানান, আইন গত জটিলতায় শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা এখনও সম্ভব হয়নি তাই এখন কোন মন্তব্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এরপর থানা অফিসার ইনচার্জ বেলাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনায় অভিযুক্ত অমলের নামে অত্র থানায় মামলা দায়ে হয়েছে। মামলা নং -৫/২৪ -৪-১৮। এ মামলায় অভিযুক্ত কে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যহত আছে।