
নিজের দল সানরাইজার্স হায়দারাবাদ হারলেও ব্যাটিং পারফরমেন্সে ‘সুপার স্ট্রাইকার অব দ্য ম্যাচ’ পুরস্কারিট জিতে নিলেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। শেষদিকে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে এ পুরস্কার জিতলেন তিনি।
এদিন ১ চার ও ২ ছক্কায় ১২ বলে ২৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে আইপিএলের ১৬তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। ম্যাচে ক্রিস গেইল তাণ্ডবে ১৯৩ রানের পুঁজি পায় তারা। গেইল ৬৩ বলে ১ চার ও ১১ ছক্কায় ১০৪ রান করেন। এবারের আইপিএলে এটিই গেইলের প্রথম সেঞ্চুরি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫ রানে হারে হায়দারাবাদ। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৫৪ ও মনিশ পান্ডে অপরাজিত ৫৭ রান করেন।
তবে এদিন বল হাতে অনুজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। ২ ওভার বল করে রান দেন ২৮। ৩টি ছক্কা ও ১টি চারের মারও খেতে হয় তাকে।
টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর প্রথম হারের অনুভুতি লাভ করে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সানারাইজার্সের অবস্থান এখন পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।
আরো পড়ুন…
মুস্তাফিজের জাদুকরী বোলিংয়েও জয় পেল সাকিবদের দল
হায়দারাবাদ: আইপিএল এর বৃহস্পতিবারের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের এর মধ্যে। তবে অনেক বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে এটা ছিল শুধুই সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানের ম্যাচ।
ম্যাচে হয়তো হায়দরাবাদ জিতেছে শেষ বলে, ১ উইকেটে। কিন্তু ব্যক্তিগত লড়াইয়ে কে জিতলেন, সাকিব না মোস্তাফিজ?
প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল মুম্বাই। ফলে সাকিব-মোস্তাফিজ লড়াই দেখার কোনো সুযোগ প্রথম ইনিংসে হয়নি। মোস্তাফিজের যদিও শেষ ওভারে নামার একটা সম্ভাবনা জেগেছিল, কিন্তু সাকিবের বোলিং কোটা এর আগেই শেষ হয়ে গেছে। প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে ভালো শুরু করেছিলেন। কিন্তু ইনিংস শেষে অন্য বোলারদের তুলনায় সাকিবের বোলিং ফিগার (৪-০-৩৪-১) একটু বেশিই খরচে দেখাচ্ছে।
অলরাউন্ডার হওয়ার সুবাদে ব্যাট হাতে দায় মেটানোর সুযোগ ছিল সাকিবের সামনে। দলের বিপদে ব্যাট করতে নেমে খুব ভালো করেননি সাকিব। ১২ বলে ১২ রান করেছেন, মেরেছেন মাত্র ১টি চার। তবে সে চারই ছিল মোস্তাফিজের বলে। ১২তম ওভারেই মুহূর্তটা এল, আইপিএলের ‘বাংলাদেশ’ পর্ব। সে পর্বে জিতলেন সাকিব। মোস্তাফিজের ৪ বলে ৮ রান নিলেন সাকিব। কিন্তু এর পরের ওভারেই সাকিবের বিদায়ে অমন কিছু আর দেখার সুযোগ হয়নি। প্রথম দুই ওভারে ২০ রান দিয়ে এক উইকেট পাওয়া মোস্তাফিজ তৃতীয় ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে দলকে আশা দেখিয়েছেন।
মোস্তাফিজ চতুর্থ ওভার করতে এসেছেন মহা চাপ মাথায় নিয়ে। ১২ বলে ১২ রান দরকার এমন মুহূর্তে। ১ রান, ডট, ডট, আউট! টানা দুটি বল অফ স্টাম্পের বাইরে করার পর চতুর্থ বল স্টাম্পে ফেলতেই মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দিয়ে ফিরলেন সিদ্ধার্থ কৌল।
পরের বল ডট, শেষ বলে আবারও আউট। মোস্তাফিজকে ফাইন লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শর্ট ফাইনে আউট সন্দীপ শর্মা। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট মোস্তাফিজের। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ শেষ দুই ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়ে দলকে জয়ের আশাও দেখিয়েছিলেন মোস্তাফিজ।
প্রথম দেখাতে তাই মোস্তাফিজই জিতলেন বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল)!