1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন
৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পীরগঞ্জে খোলা পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে এসি ল্যান্ড অফিসের সামনে! উদ্দীপনায় পলাশবাড়ী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন তারাগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণঅভ্যুত্থান দমন মামলায় হাসিনা–কামালের মৃত্যুদণ্ড “পলাশবাড়ীতে জামায়াতের শোকরানা নামাজ আদায়” পলাশবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ইউএনও’র নেতৃত্বে রাষ্ট্র্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন পলাশবাড়ী পৌরশহরের আমবাড়ীতে পৌর যুবদলের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ীতে উপজেলার নাগরিক সংগঠনের ত্রৈমাসিক সভা হাসিনার ফাঁসির রা‌য়ে তারাগঞ্জে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১: শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড, মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড তারাগঞ্জে নবীনবরণ, বিদায় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

পবিত্র শবেমেরাজ : তাৎপর্য ও গুরুত্ব

  • আপডেট হয়েছে : শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৮
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

সর্বশেষ নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ২৩ বছরের নবুওয়তি জীবনের অন্যতম অলৌকিক ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হলো মেরাজ। মেরাজ গমন করে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহতায়ালার কাছ থেকে উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশসহ ইসলামি সমাজ পরিচালনার বিধি-বিধান নিয়ে আসেন। পবিত্র কোরআনে কারিমে এ সম্পর্কে সূরা বনি ইসরাইলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

বিশ্ব মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামকে একটি পূর্ণাঙ্গ ও সর্বজনীন জীবন ব্যবস্থা হিসেবে রূপ দেওয়ার জন্য তিনি আল্লাহতায়ালার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পেয়েছিলেন মেরাজের রাতে। এ জন্য এ রাতটি মুসলমানের কাছে অতীব গুরুপূর্ণ। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সব মুজেযার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুজেযা হলো মেরাজ। এ রাতে তিনি বায়তুল মোকাদ্দাসে নামাজে সব নবীর ইমাম হয়ে সাইয়্যিদুল মুরসালিনের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ফলে এ রাতটি নিঃসন্দেহে তার শ্রেষ্ঠত্বের গৌরবোজ্জ্বল নিদর্শন বহন করে।

মেরাজ রজনীতে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) উম্মে হানী বিনতে আবু তালিবের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। হঠাৎ হজরত জিবরাইল (আ.) এসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)কে মসজিদুল হারামে নিয়ে যান। যেখানে তার বুক বিদীর্ণ করে জমজম কূপের পানি দিয়ে সীনা মোবারক ধৌত করে শক্তিশালী করেন। এ ঘটনাকে ‘শাক্কুস সদর’ বলে। নবী (সা.)-এর জীবনে অন্তত তিনবার এমনটা হয়েছে। তারপর সেখান থেকে তিনি ‘বোরাক’ নামক এক ঐশী বাহনে চড়ে বায়তুল মোকাদ্দাসে এসে সব নবীর ইমাম হয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। তারপর তিনি বোরাকে চড়ে ঊর্ধ্বে গমন করতে থাকেন। একের পর এক আসমান অতিক্রম করতে থাকেন। পথিমধ্যে হজরত মূসা (আ.)সহ অনেক নবী-রাসূলের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। সপ্তম আসমানের পর হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)কে বায়তুল মামুর পরিদর্শন করানো হয়। এর পর রাসূলুল্লাহ (সা.) স্বচক্ষে জান্নাত ও জাহান্নাম প্রত্যক্ষ করেন।

বায়তুল মামুরে রাসূলুল্লাহ (সা.) জিবরাইল (আ.)কে রেখে তিনি ‘রফরফ’ নামক আরেকটি ঐশী বাহনে চড়ে আল্লাহতায়ালার দরবারে হাজির হন। কোনো কোনো বর্ণনায় আছে, মেরাজ রজনীতে রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহতায়ালার এতটা কাছাকাছি গিয়েছিলেন যে দু’জনের মধ্যখানে মাত্র এক ধনুক পরিমাণ ব্যবধান ছিল। এখানে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর উম্মতের ওপর ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হলো। পরবর্তী সময়ে পুনঃ পুনঃ আবেদনের প্রেক্ষিতে আল্লাহপাক দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ উম্মতে মুহাম্মদির ওপর ফরজ করেন, যা ইসলামের পাঁচটি রুকনের অন্যতম রুকন বা ভিত্তি। আর এই নামাজই মানুষকে যাবতীয় পাপাচার ও অনাচার থেকে রক্ষা করে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে তৈরি করে।

হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) মেরাজ গমনের বিষয়ে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। এ ছাড়া মুফাসসিররাও এ সম্পর্কে ব্যাপক তথ্য-প্রমাণাদি পেশ করেছেন। যদিও মেরাজের ঘটনা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয়-সন্দেহ নেই। আমাদের সমাজের অনেকেই মেরাজের ঘটনার ক্ষেত্রে কোরআন-হাদিসের রেওয়ায়েতের চেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে মেরাজের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ। এটা আসলে এক ধরনের হীনম্মন্যতা। কারণ মেরাজ সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসের প্রচুর বর্ণনা এসেছে; এটাকে পাশ কাটিয়ে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ নিয়ে মেতে থাকা ঠিক না। তবে হ্যাঁ, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ হতে পারে কোরআন-হাদিসের সহায়ক।

কারণ কোরআন ও সহিহ হাদিসের অকাট্য তথ্য একজন মুসলমান মানতে বাধ্য। একজন খাঁটি মুসলমানের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে মেরাজের সত্যতা প্রমাণের অপেক্ষা না করে এ বিষয়ে মনেপ্রাণে বিশ্বাস স্থাপন করার নামই ইমান। তাই হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) মেরাজ গমনের কথা একজন অবিশ্বাসীর মুখে শুনে হজরত আবু বকর (রা.) তৎক্ষণাৎ বিশ্বাস করেছিলেন বলেই হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে ‘সিদ্দিক’ উপাধি দিয়েছিলেন। মেরাজের মাধ্যমে মহানবীকে (সা.) আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা দান করা হয়, যেন মানুষ আল্লাহর নিদর্শন উপলব্ধি করতে পারে এবং স্বচ্ছ ধারণা অর্জন করতে পারে।

মহানবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনে ‘মেরাজ’ এমন সময় সংঘটিত হয়েছিল যে সময়টি ছিল তার জীবনের সবচেয়ে দুর্যোগময় মুহূর্ত। কুরাইশদের দ্বারা মহানবী (সা.) এবং তার অনুসারীদের সামাজিকভাবে বয়কট, প্রিয় স্ত্রী হজরত খাদিজা (রা.) ও একমাত্র অভিভাবক চাচা আবু তালিবের ইন্তেকাল, তায়েফবাসীর লাঞ্ছনা মহানবী (সা.)কে মানসিকভাবে মর্মাহত করে। আর এমনই সময়ে মহান আল্লাহর কাছ থেকে আমন্ত্রণ এলো মেরাজের। মেরাজের রাতে মহান আল্লাহতায়ালা তার প্রিয় বন্ধুকে একান্ত সান্নিধ্যে নিয়ে আসেন। আল্লাহ রাসূল (সা.)কে ইসলামের বাস্তবায়ন রূপরেখা, ভবিষ্যতের কর্মপন্থা এবং মুমিনদের জন্য সর্বোত্তম ইবাদত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ামতস্বরূপ দান করেন। সে জন্য বলা হয়েছে, ‘আস্সালাতু মিরাজুল মুমিনিন’ নামাজ মুমিনদের জন্য মিরাজস্বরূপ। ইসলামের প্রত্যেকটি ইবাদতের বিধান আল্লাহতায়ালা হজরত জিবরাঈল (আ.)-এর মাধ্যমে মহানবী (সা.)-এর কাছে প্রেরণ করেন। কিন্তু নামাজই একমাত্র ইবাদত যা কোনো মাধ্যম ছাড়া আল্লাহতায়ালা সরাসরি মহানবী (সা.)-এর ওপর ফরজ করেছেন। সুতরাং আমাদের উচিত হলো সমাজে নামাজ কায়েম করতে সচেষ্ট হওয়া। এবারের শবেমেরাজে এটাই হোক আমাদের একান্ত শপথ।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft