সিরাজগঞ্জে পুলিশের পোশাক পড়া মুখোশধারীদের ধাওয়ায় নদীতে ঝাপ দেয়া দুই জুয়াড়ি নিখোঁজ হওয়ার ২১ঘন্টা পর একজনের লাশ উদ্ধার হলেও দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার অপরজনের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রাঙালিয়াগাঁতী গ্রামের মৃত রেফাজ উদ্দিন সেখের ছেলে বাচ্চু সেখ(৪০) ও বেজগাঁতী গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে আসাদুল মিয়া (৩০)।
সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, রোববার বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও রাজশাহী থেকে আগত ৮ সদস্যের একটি ডুবুড়ি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
বিকেল ৫টার দিকে আসাদুলের লাশ উদ্ধার হয়। সোমবার সকাল সোয়া এগারো থেকে অপর নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। তিনি আরও জানান, পানিতে পড়ে মৃত্যর ক্ষেত্রে সাধারণত ৪৮ঘন্টার মধ্যে লাশ ভেেেস ওঠে। এক্ষেত্রে সেটিও দেখা যাচ্ছেনা। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তির কোন সন্ধ্যান না পাওয়ায় ডুবরী দল উদ্ধার অভিযান বন্ধ ঘোষণা করে।
এদিকে, নিখোঁজ বাচ্চু সেখের বড় ভাই মো. সরোয়ার্দী সেখ জানান, বাচ্চু এক সময় তাঁত শ্রমিকের কাজ করতো। পরে বখাটে হয়ে যায়। তার নামে ইতিপূর্বে ৩/৪টি হত্যাসহ ১০/১২টি মামলা ছিলো। সে মামলাগুলো শেষ হলেও বর্তমানে একটি চুরির মামলায় জামিনে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিরাজগঞ্জ উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ইছামতি নদীর পাড়ে গাড়দাহ নামক স্থানে ১০/১২জন জুয়াড়ি প্রতিদিনের ন্যায় জুয়া খেলছিলো। এসময় পুলিশের পোশাক পড়া ৬জন, সাদা পোশাকে ৫জন ও মুখোশ পড়া ১জনসহ মোট ১২জনের একটি দল হ্যান্ডকাপ ও অস্ত্র নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে গেলেও ৫ জুয়াড়ি নদীতে ঝাপ দেয়। প্রায় ১ঘন্টা পর ৩জন সাঁতড়িয়ে পাড়ে উঠলেও অপর ২জন নিখোঁজ রয়ে যায়। স্থানীয়রা রাতভর বহু খোঁজাখুজি করে তাদের সন্ধান পায়নি। পরদিন সোমবার বিকেল ৫টার দিকে ডুবরীদল আসাদুলের লাশ উদ্ধার করে।
তবে, পুলিশের পোশাক পড়া ব্যক্তিদের বিষয়ে সদর থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, উল্লেখিত এলাকায় সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ কোনো অভিযান চালায়নি। তবে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।