
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত দুদিন অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের একটি টিম গতকাল ১ এপ্রিল বিকেল অনুমানিক ৪ টা ৩০ মিনিটের সময় গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন গোবিন্দগঞ্জ হাই স্কুলের সামন হতে চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সদস্য আসামী জুলফিকার আলী(৩০) ও ২।জাহিদুল ইসলাম(৪০) কে ভারত হতে চোরাপথে আনা একটি লাল রংয়ের এপ্যাচি ১৫০ সিসি মটরসাইকেল সহ আটক করা হয়।
আটককৃত চোরাকারবারি ১। জুলফিকার আলী (৩০) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হিয়াদপুর গ্রামের গোলজার রহমানের ছেলে ও ২। জাহিদুল ইসলাম (৪০) একই উপজেলার কোচমন্ধন বাড়ইপাড়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।
এরপর আটককৃতদের দেয়া তথ্য মতে আজ ২ এপ্রিল দিনব্যাপী সিন্ডিকেটের বাকী সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হয়। উপরোক্ত আসামী দ্বয়ের সিন্ডিকেটে হিলি, বিরামপুর, নবাবগন্জ, ঘোড়াঘাট, গোবিন্দগঞ্জ ও পীরগন্জের একাধীক পেশাদার চোর, ছিনতাইকারী ও চোরাকারবারি জড়িত আছে।
এদের এক গ্রুপ সরাসরি মোটরসাইকেল চুরি বা ছিনতাই করে, আর এক গ্রুপ কিছুদিন পর চুরি/ ছিনতাই যাওয়া মোটর সাইকেলের মালিকের নিকট হতে কিছু টাকা দিয়ে মুল কাগজপাতি কিনে নিয়ে।এরপর আর এক গ্রুপ ভারত হতে চোরাইপথে দামী ব্রান্ডের মোটরসাইকেল দেশে এনে তাতে টেম্পারিং করে ইতিপূর্বে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটির চেসিস ও ইন্জিন নং বসিয়ে দেয়।শেষ গ্রুপ চুরি বা ছিনতাই যাওয়া মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দিয়ে টেম্পারিং করা ভারতীয় মোটরসাইকেল টি বিক্রয় করে থাকে।
এখবর নিশ্চিত করে ডিবি ওসি মেহেদী হাসান জানান, উদ্ধার কৃর্ত মোটরসাইকেলটির মূল্য ১,৯৯,০০০/-টাকা।এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।