1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা বদলী : নতুন পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম ফুলছড়িতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুইজন আটক পোশাকের রং বদলায়, কিন্তু বদলায় কি পুলিশের আচরণ? গাইবান্ধায় এনসিপির মনোনয়ন ফরম তুলেছেন যারা পলাশবাড়ী পৌর জামায়াতের নির্বাচনী মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ী উপজেলা জাতীয়তাবাদী তারেক জিয়ার প্রজন্ম দলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন রাজশাহীতে বিচারকপুত্র হত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন গাইবান্ধায় বিএনপির প্রার্থীকে বিজয়ী করতে জাসাসের মতবিনিময় সভা আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসব মুখর করতে মাঠ প্রশাসন প্রস্তুত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি-বহির্ভূত ৫৭টি আদেশে ডিপিসি স্থবির—১২ বছরেও প্রথম পদোন্নতি পাচ্ছেন না বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকরা।

শিশু-কিশোররা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়রানির শিকার হচ্ছে

  • আপডেট হয়েছে : শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৮
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

প্রতিদিন ১ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি শিশু প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবহার করছে। প্রতি আধা সেকেন্ডে একটি শিশু অনলাইন দুনিয়ায় প্রবেশ করছে।

আর এতে দেশের ১৩ শতাংশ শিশু-কিশোর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়রানির শিকার হচ্ছে।

একাধিকবার হয়রানির শিকার হচ্ছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। হয়রানির কারণে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিচ্ছে বলে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ) এর গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

সারাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একটা বড় অংশ ১৮ বছরের নিচে বা শিশু-কিশোর। তারা একদিকে যেমন ডিজিটাল জগতে প্রবেশের সুবিধা পাচ্ছে এবং শিশুদের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ তৈরি করছে, ঠিক তেমনি ঝুঁকিও বাড়ছে।

শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে ‘শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে এ জরিপ প্রকাশিত হয়। ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও ফেসবুক যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শিশুরা ট্যাব ব্যবহার করবে, ইন্টারনেট ব্যবহার করবে, এটাই আমরা চাই। ওরা নিরাপদভাবে ব্যবহার করবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্ঞানের ভাণ্ডার হিসেবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে। ঝুঁকির মধ্যে যাতে কেউ না পড়ে, সে জন্য মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সিনিয়র সহকারী পরিচালক শামসুজ্জোহা বলেন, ইন্টারনেটে শিশুদের নিরাপদ পরিবেশ পাওয়ার অধিকার আছে। শিশু-কিশোরদের নিরাপদ ইন্টারনেট দিতে গাইডলাইন স্মার্টভাবে দিতে হবে।

ফেসবুকের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার পলিসি প্রোগ্রাম ম্যানেজার শ্রুতি মগি বলেন, অনলাইনে শিশুর নিরাপত্তার বিষয়টি বেশ সংকটপূর্ণ। শিশুদের কথা বলতে হবে অভিভাবকদের সঙ্গে। ওদের জন্য একটা নিরাপদ কমিউনিটি গড়ে তুলতে হবে।

ইউনিসেফের এ দেশীয় প্রতিনিধি এডুওয়ার্ড বেগবেদার বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই পৃথিবী পরিবর্তন করে ফেলেছে। কম বয়সীরা বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি শিশুরা ব্যবহার করছে তথ্য খুঁজতে। তবে শিশুদের হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দুষ্কৃতকারীরা খুব সহজেই শিশুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে পরিচয় লুকিয়ে। এটা কমাতে অনেক গবেষণা ও সচেতনতা প্রয়োজন।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ম্যানেজার এ এম শাকিল ফায়েজুল্লাহ জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন। তুমি কী কারণে ইন্টারনেট ব্যবহার করো? এমন প্রশ্ন জরিপে করা হয়। এর উত্তরে ৬৭ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু-কিশোর জানায়, তারা শেখার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আর ২১ দশমিক ৪ শতাংশ বন্ধু বানানোর জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে।

তিন সপ্তাহ আগে ইন্টারনেটে নিরাপত্তা নিয়ে শিশুরা কী ভাবে? তাদের পরিস্থিতি কী? এসব জানতে ইউনিসেফ সারা দেশে জরিপ পরিচালনা করে। অনলাইনভিত্তিক এই জরিপটি নয় লাখের বেশি শিশু-কিশোরের কাছে পৌঁছায়। এতে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ১১ হাজার ৮২১ জন ছেলে-মেয়ে অংশ নেয়।

জরিপে আরো বলা হয়, ৮১ দশমিক ২ শতাংশ শিশু-কিশোর সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিদিন সময় কাটায়। এদের ৯০ শতাংশই মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ৮০ দশমিক ১ শতাংশ শিশু-কিশোর কোনো ধরনের হয়রানির বা উত্ত্যক্তের শিকার হয়নি। জরিপের অংশ নেওয়া শিশু-কিশোরদের ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ জানায়, কোনো অপরিচিত লোক তাদের অনলাইনে বন্ধু হতে চাইলে, তারা বন্ধু হয় এবং ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ শিশু-কিশোর বন্ধু হতে চায় না বলে জানায়।

প্রসঙ্গত, প্রথমবারের মতো দিনব্যাপী শিশুদের জন্যে নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক অনুষ্ঠানে দেশের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ প্রায় ১০ হাজার অংশগ্রহণ করে। সকালে সুরের ধারা স্কুলের শিক্ষার্থীদের ‘আমরা সবাই রাজা’ ও ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি’ গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ক্রিকেট, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের জনপ্রিয় তারকারাও এই উৎসবে অংশ নেন।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft