
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী উত্তর উল্যা গ্রামের অনন্ত কুমার দাস নামের একটি সংখ্যালঘু পরিবারকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করে জমি দখল করা হয়েছে। তারা বাড়ি ভিটা হারিয়ে এখন অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। এ বিষয়ে মামলা করায় ওই সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে আজ ২৯ মার্চ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওই পরিবারের সদস্যরা ঘটনার প্রতিকার ও দোষীদের বিচার দাবি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অনন্ত কুমার দাস লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, প্রায় ১৯ বছর ধরে উত্তর উল্যা বাজারে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে। ২০১৪ সালে বাড়ি সংলগ্ন জমির সাথে জেএল নং ৭, খতিয়ান নং ১৬৮, ২১৯, দাগ নং ৩৯১ ও ৩৯৫ এর ২৭ শতাংশ জমির মধ্যে আড়াই শতক জমি গটিয়া গ্রামের গোলাম রব্বানী মন্ডল ও ফজিলাতুন্নেছা দৌলার কাছ ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জমি তিনি খারিজ করে নিয়মিতভাবে খাজনা দিয়ে আসছেন। ওই জমিতে অনন্ত কুমার ঘর তুলে বসবাস করে আসছেন। পরবর্তীতে গোলাম রব্বানী মন্ডলের ভাতিজা হুমায়ুন রেজা হিমন ও শাহীন পারভেজ রিওন অনন্ত কুমারে ক্রয়কৃত উক্ত আড়াই শতক জমি বেদখলের চেষ্টা করে এবং অবৈধভাবে পাকা ঘরবাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করে।
এ বিষয়ে অনন্ত কুমার দাস সাঘাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগ দায়েরের খবর শুনে হুমায়ুন রেজা হিমন ও শাহীন পারভেজ রিওনসহ তাদের লাঠিয়াল বাহিনী আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং অনন্ত কুমারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে। পরে অনন্ত কুমার ২০১৬ সালের ২২ জুন গাইবান্ধা সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে উচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন। অনন্ত কুমারের মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নালিশী জমিতে উভয় পক্ষকে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন আদালত। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হুমায়ুন রেজা হিমন ও শাহীন পারভেজ রিওন ওই জমিতে পাকা ঘরবাড়ি নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখে।
এছাড়াও হুমায়ুন রেজা হিমন ও শাহীন পারভেজ রিওন প্রায়ই অনন্ত কুমার দাসের বাড়িতে গিয়ে নানাভাবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ,প্রাণনাশ ও এলাকা ছাড়ার দিয়ে আসছে। এতে এককভাবে বসবাসকারী এই পরিবারটি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশি¬ষ্ট বিষয়টি প্রতিকারের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আশুতোষ দাস, সুমি রাণী দাস, সুষময় দাস, হিমবালা দাস, সুপ্ত দাস।