
ব্যানার-ফেস্টুন, প্লেকার্ড, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, জাতীয় পতাকা, ফুলে সাজানো নৌকা নিয়ে স্বল্পোন্নয়ত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় রাজধানীসহ সারাদেশে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে। এ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ সরকারি আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় এ আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। এর আগে দুপুর ১২ টা থেকেই আনন্দ শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিতে থাকে এসব মন্ত্রণালয় এবং প্রতিষ্ঠানগুলো। পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা সহকারে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বাংলা একাডেমি, দোয়েলচত্বর, আব্দুল গণি রোড, জিপিও হয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের দিকে আসতে থাকে। অনুষ্ঠানে বিকেলে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে ব্যানার-ফেস্টুন, প্লেকার্ড, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, জাতীয় পতাকা, ফুলে সাজানো নৌকা এ আনন্দ শোভাযাত্রায় শোভা পাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে এই শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আর এইসব ব্যানারে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে সরকারের বিগত ৯ বছরের উন্নয়নের চিত্র। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন এই আনন্দ শোভাযাত্রায়। আনন্দ শোভাযাত্রা এই বাজানো হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ।
এদিকে আনন্দ শোভাযাত্রার কারণে রাজধানীর শাহবাগ, কাকরাইল মসজিদ, নাইটিঙ্গেল, ফকিরাপুল, শাপলাচত্বর, গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, চানখারপুল, বকশিবাজার, শাপলা চত্বর, পলাশী-নীলক্ষেত এলাকায় যান চলাচল সীমিত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তা সাথে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ কারীরা ব্যাক প্যাক, হ্যান্ড ব্যাগ, ভ্যানিটিব্যাগ, সিগারেট লাইটার বহনে নিষেধ করা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুশিলেশের পক্ষ থেকে।
এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশে একই সময়ে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সংবর্ধনা দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
বিকেলে রাজধানীর ৯টি পয়েন্ট থেকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তাদের অধীনস্ত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষ আনন্দ শোভাযাত্রা করে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ দেশের সাধারণ মানুষও উপস্থিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে শুরু হয় শোভাযাত্রা বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় দেখা গেছে, সুসজ্জিত বাদকদল, ঘোড়ার গাড়ি। বিশাল ব্যানার নিয়ে গায়ে বর্ণিল টি-শার্ট, মাথায় ক্যাপ দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে হাতে শোভা পাচ্ছিল ফেস্টুন। টি-শার্ট, ক্যাপ, ব্যানারে শ্লোগান ছিল- ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ।’
শোভাযাত্রার ফেস্টুনে ছিল সরকারের উন্নয়নের নানান শ্লোগান- ‘সকল সূচকের উন্নয়নে বিশ্বে রোল মডেল বাংলাদেশ’, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের অভিযাত্রায় বাংলাদেশ’, ‘টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার অর্জনের পথে বাংলাদেশ’, ‘ডিজিটাল যুগ, জনগণের সুখ’, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ’, ‘হাতে রেখে হাত, উন্নয়নের ডাক’, ‘স্বপ্ন পূরণের উৎসবে আজ দেশ’, ‘বাংলাদেশ আজ দুর্বার, রুখবে তাকে সাধ্য কার’ ইত্যাদি।
স্টেডিয়ামে সন্ধ্যায় লেজার শো ফায়ারওয়ার্কসহ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানটি সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।