
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ফুলবাড়ী ইউনিয়নের দিক দাইর গ্রামে নির্বিচারে৪ লক্ষাধিক টাকার সরকারী গাছ নিধন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী সহকারী শিক্ষক আব্দুল মান্নান মাষ্টার। গাছ খেকোর দাবী করেছে স্থানীয় জনতা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের দিকদাইর-নাছাই কোচাই দুটি সড়কের প্রায় ৩ শতাধিক ইউক্লিপটার সরকারী গাছ গ্রামের মজিবুর রহমান মজি শেখের ছেলে স্থানীয় প্রভাবশালী সহকারী শিক্ষক আব্দুল মান্নান শেখ কোন রকম টেন্ডার পক্রিয়া ছাড়াই ৪ লক্ষ টাকা মূল্যে কর্তন করে বিক্রি করে।অবশ্য গাছ কাটতে আসা লোকজন আড়াই লাখ টাকা গাছ বিক্রি হয়েছে বলে স্বীকার করে।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লা জানান,কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই ইউনিয়ন পরিষদের আইন কানুনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল মান্নান শেখ গাছ রাস্তার গাছগুলি বিক্রি করেছে।যা সম্পূর্ন অবৈধ।
গতকাল দুপুরে এ অবৈধ পক্রিয়ায় গাছ কর্তনের অভিযোগ পেয়ে এ এস আই রফিকের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স উক্ত স্থানে যান।এবং নামে মাত্র ৪২ পিছ গাছের গুল জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালামের জিম্মায় দিলেও নব নির্মিত ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সন্মূখে রাখা আরও অন্তত ১০০পিছ বড় গাছের গুল তা জব্দ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।
এ বিষয়ে আব্দুল মান্নান মাষ্টার সাংকাদিকদের জানান,গাছ কর্তন পক্রিয়া অবৈধ হলেও সবাইকে ম্যানেজ করে গাছ কর্তন হচ্ছে।সরেজমিনে সাংবাদিকরা গেলে এলাকার অর্ধ-শতাধিক নারী-পুরুষ জানান,আমরা অনেক অসহায়,মান্নান মাষ্টার সমিতির নামে একের পর এক রাস্তার গাছ বিক্রি করে আঙ্গুলফুলে লাখ-লাখ টাকার মালিক বুনে গেছেন।তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার কেই তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে ধরতে সাহস পান না।এমনকি কেউ এসব ব্যাপারে কথা বললে তাকে তিনি বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখান ও ফাঁসানোর চেষ্টা করেন।
এলাকাবাসী আরও জানান,তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা সহ সরকারী অনুদানে হস্তক্ষেপ করে প্রভাব খাটিয়ে সুবিধা আদায় করে আসছেন।এলাকাবাসী তার অবৈধ ভাবে সরকারী গাছ কর্তনের বিষয়ে তদন্ত করে গাছ খেঁকোকে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবী করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীলাব্রত কর্মকার সাংবাদিকদের বলেন,এ অবৈধ গাছ কর্তনের অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।