
গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি আজ ১১ মার্চ রবিবার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদরে জাতীয় পার্টি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমাদের দেশে উপ-নির্বাচন সফল করার কোন নজির নেই। এই নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার আশংকা দেখে নৌকা মার্কার প্রার্থী বা তার অতি উৎসাহী সমর্থকরা ব্যাপক সিলমারা ও ভোটদখল করতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আসছে- বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ লোক সুন্দরগঞ্জে ঢুকছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশংকায় আছি। আমাদের নেতাকর্মীদের যথেষ্ট ভয় দেখানো হচ্ছে। ভোটারদের মধ্যেও কিছু ভীতিকর পরিস্থিতি আছে।
এছাড়াও ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, আমরা আচরণবিধির চূড়ান্ত ভায়োলেশন দেখেছি। ম্যাজিস্ট্রেটকে ও নির্বাচন কমিশনের অফিসকে বেশ ইতস্তত অবস্থায় দেখেছি। অনেকক্ষেত্রেই তারা সরকারি দলের প্রার্থীর ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি করছেন। পরে তারা কিছুটা পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে এখনো আচরণবিধি লঙ্ঘনের কিছু চিত্র বিদ্যমান।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির ইউনিয়ন ও উপজেলার বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনজুরুল ইসলাম লিটন দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হলে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনটি শূন্য হয়। পরে ২০১৭ সালের ২২ মার্চ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে জয়লাভ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা আহমেদ। তিনিও সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে এক মাস ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর মারা যান। ফলে আসনটি আবারও শূন্য হয়। পরে ৯ ফেব্রুয়ারি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই আসনে প্রয়াত সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটনের বড়বোন আফরুজা বারীকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেন। এ আসনে আগামী ১৩ মার্চ উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপ-নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।