
‘জঙ্গিবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি জাফর ইকবালের ওপর হামলার মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছে তারা আরো বড় ও ভয়াবহ হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং তাদের পরিকল্পনা চলছে। জঙ্গিবাদ এখনো নির্মূল হয়নি। তারা দমে যায় নাই। তবে এ ঘটনায় যারাই জড়িত তারা ছাড় পাবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার সকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭ মার্চের জনসভা সফল করতে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবাহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
এ হামলার কারণে দেশের সুশীল সমাজ হুমকির মুখে আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকার তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে আসছে। সব ধরনের ব্যবস্থাও নিয়েছে। তাই সুশীল সমাজের কারো ভয়ের কোনো কারণ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারীর স্বীকারোক্তি শুনে আমরা বিস্মিত হয়েছি। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অশুভ শক্তির পুনরুত্থানের ইঙ্গিত পাচ্ছি। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে আছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বক্ষণ তার খোঁজ রাখছেন। জননন্দিত এই সায়েন্স ফিকশন লেখক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের বলিষ্ঠ এই কণ্ঠের উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি হামলার পেছনে যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির সাথে কথা বলেছি। শুধু অ্যাটাকার না, এই ঘটনার নেপথ্যে যারা আছে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।
হামলাকারীর আটক হওয়া মামা স্থানীয় কৃষকলীগের নেতা, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কে কী, আর কী হয়েছে এটা সবাই জানে। সবই পরিষ্কার। অযথা এখানে রং মাখানোর দরকার নাই।
শনিবার ঘটনার পরপরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘটনাকে একটি চক্রান্ত বলে আখ্যায়িত করা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, অবশ্যই এই হামলা একটি চক্রান্ত। তবে আমি এই বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না।