
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার করতোয়া ও কাটাখালী নদী থেকে অবৈধ্য ভাবে প্রায় শতাধিক স্থানে বালু উত্তোলন চলছেই। নদীকে হুমকীর মূখে ফেলে ফসলি জমি ধ্বংস করে অনায়াসে একটি বালুদস্যু চক্র এ ভাবেই বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। অথচ প্রশানের নীরব ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গোবিন্দগঞ্জ বাসী। ব্যাপকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে আবাদী জমি বসতবাড়ী।
নদীর তীঁরবর্তী ফসলি জমির মালিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার সাপমারা ইউপি‘র সাহেবগঞ্জ ও চকরহিমাপুরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীতে প্রায় ১০ টি স্থানে জমি ও রাস্তার পার্শে শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধ্য বালু উত্তোলন করছেন। এতে করে ব্যক্তি মালিকানাধী ফসলি জমি গুলি ভেঙ্গে ধ্বসে যাচ্ছে। এ ছাড়াও যে সব জমিতে ফসল রয়েছে, সেগুলোসহ প্রায় ১ কিঃমিঃ রাস্তা বালু বহনকারী যানবাহন যাওয়া আশার কারনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
এলাকার জমি ও বাড়ীর মালিক মিন্টু মিয়াসহ অনেকে জানান, একাধিকবার জাতীয় সংসদ সদস্য, নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট মৌখিক ও লিখিত ভাবে অভিযোগ করা হলেও এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। এ ব্যপারে প্রশাসনিক ভাবে পদক্ষেপ গ্রহন করে অবৈধ্য বালু উত্তোলন বন্ধ করার দাবী জানান ভূক্তভোগীরা।
এ ছাড়াও উপজেলার তালুককানুপুর ইউপি‘র সমসপাড়া ও চন্ডিপুর নদীতে প্রায় ২০ টি স্থানে, কাটাখালী ব্রীজের পার্শে প্রায় ৫ স্থানে, দরবস্ত ইউপি‘র বগুলাগাড়ী বাধেঁর পার্শে প্রায় ৪ টি স্থানে , শিকশহর গ্রামে প্রায় ১০ টি স্থানে, মহিমাগঞ্জ ইউপি‘র নদী ও শহরের পার্শে প্রায় ১০ টি স্থানে , হরিরামপুর ইউপি‘র বড়দহ ব্রীজের পাশ সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৭ টি স্থানে, নাকাই ইউপি‘র প্রায় ৫ টি স্থানে , নদী থেকে ও পুকুর খননের নামে রাখালবুরুজ ইউপি‘র ধর্মপুর বাজার ও আমতলী এবং বিশপুকুর সহ প্রায় ৯ টি স্থানে, সাপমারা ইউপি‘র খলসি , তরককামাল গ্রামের করতোয়া নদী ও গোবিন্দগঞ্জ টু দিনাজপুর মহাসড়ক সংলগ্ন নদী থেকে প্রায় ১০ টি স্থানসহ শতাধিক স্থান থেকে অবৈধ্য ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।