
গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন বলেছেন, জাতিসংঘের সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দিতে হবে। এই যৌক্তিক দাবিতে আজ আমরা গাইবান্ধায় সমবেত হয়েছি। বাংলা ভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে জাতিসংঘ ইতোপূর্বে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে আমাদের গৌরবান্বিত করেছে।
জাতিসংঘের সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা হোক বাংলা গাইবান্ধা পৌরপার্কের শহিদ মিনার চত্বরে সোমবার অনলাইন আবেদনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র এ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা অবশ্যই আজকে দাবি করতেই পারি, আমাদের এই ভাষা যে ভাষাকে আপনারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পরিগণিত করেছেন সেই ভাষাকে অবশ্যই জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারী সোমবার দুপুরে পৌরপার্কের শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহিদ মিনার চত্বরে জাতিসংঘে বাংলা চাই অনলাইন আবেদনের ভোটিং বুথে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পৌরমেয়র এ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম বাবু। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু ও জাগো নিউজের গাইবান্ধা প্রতিনিধি রওশন আলম পাপুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
এছাড়া এই অনলাইন আবেদনে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ ও আসাদুজ্জামান গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজে পৃথক-পৃথক বুথে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা বাংলা চালু করার দাবিতে অনলাইনে ভোট প্রদান করেন শিক্ষক-কর্মচারি ও শিক্ষার্থী।
জাতিসংঘে দাপ্তরিক ভাষা বাংলা চালু করার অনলাইন আবেদনে মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, চাকরিজীবি, গৃহিনী ও শ্রমজীবি মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেনিপেশার মানুষ অংশ নেন। অনলাইনে এই আবেদন প্রক্রিয়া আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পৌরপার্কের শহিদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে।