
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তৃতীয় দফা কর্মসূচি হিসাবে ঢাকা মহানগর ও জেলা বিএনপি জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। একই সাথে সারাদেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচী পালন করছে বিএনপি।
রবিবার দুপুরে পুরান ঢাকায় অবস্থিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করে মহানগর ও জেলা বিএনপি। এসময় ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. সালাহ উদ্দিন স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। সারাদেশে সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটার মধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর এটি বিএনপির তৃতীয় দফা কর্মসূচি। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি, ১০ ফেব্রুয়ারি থানা, উপজেলা, জেলা মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ, ১২ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন, ১৩ ফেব্রুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি ও ১৪ ফেব্রুয়ারি অনশন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
স্মারকলিপি জমা দেওয়া শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন উপস্থিত নেতাকর্মীরা।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা: দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউল কবির পল, অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক কাউসার, জেলা যুবদলের আহব্বায়ক ভিপি নাজিম, ওয়ালিদ খান, ফজলুল হক বেলায়িতী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাজী মাসুম, সাবিনা ইয়াসমিন, সাবেরা বেগমসহ ঢাকা জেলা বিএনপি যুবদল, ছাত্রদলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী জেলা প্রশাসকের নিকট স্বারক লিপি প্রদান করেন।
এছাড়া গতকাল শনিবার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ কর্মসূচি চলতে থাকবে বলে জানান তিনি।
বিএনপির স্মারকলিপিতে কি আছে?
জাল নথির ওপর ভিত্তি করে সাজানো মামলায় প্রতিহিংসামূলক বিচারে বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে। বানোয়াট মামলায় বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে সাজা প্রদান সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাই তার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়টিও প্রহসনমূলক ও বিস্ময়কর। কারণ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা তছরুপের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বেগম জিয়ার কোথাও কোনো স্বাক্ষর নেই। কোথাও তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও জুলুম অব্যাহত আছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকারের আচরণই বলে দেয় তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত দূরভিসন্ধিমূলক রায়টি পেয়ে গেছে।