
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, আগামী প্রজন্মের সোনালী ভবিষ্যৎ কতিপয় দুর্নীতিবাজের হাতে শৃঙ্খলিত থাকতে পারে না। কমিশন সকলের সহযোগিতায় দুর্নীতিপরায়ণদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে।
রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে দুদকের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সাকিব আল হাসানের সাথে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বসেরা ক্রিকেটার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এদেশের গর্ব এবং যুবসমাজের অনুপ্রেরণা। সাকিব তাঁর মেধা, মননশীলতা ও অকৃত্রিম চেষ্টায় আজ বিশ্ব সেরা। আমাদের দেশের যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরীরাও যদি তাকে অনুসরণ করে চেষ্টা করে তারাও স্ব-স্ব ক্ষেত্রে বিশ্বসেরা হতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দুর্নীতি। এই সমস্যা থেকে উত্তরণ পাওয়ার জন্যই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধ করা গেলেই দেশের উন্নয়ন হবে, জনগণের জীবন-মানের উন্নয়ন হবে, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ হবে।
তিনি বলেন, সমাজের সকল শক্তির উৎস হচ্ছে যুব সমাজ। যুব সমাজ যদি সাকিব আল হাসানের মতো দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেন। তাহলে কার সাধ্য আছে দুর্নীতি করার ?
দুদকের শুভেচ্ছা দূত ও বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্ববোধ করছি।
তিনি বলেন, আমার প্রচেষ্টায় একজন মানুষেরও যদি উপকার হয় অথবা একটি দুর্নীতিও যদি প্রতিরোধ করতে পারা যায় তাহলেই নিজেকে স্বার্থক মনে করবো।দুর্নীতিমুক্তভাবে দেশের উন্নয়নে আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করবো।
কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, তরুণ প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেম জাগাতে পারলে দুর্নীতি প্রকোপ কমে আসবে।
এর আগে সাকিব আল হাসান কমিশনের সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে উপস্থিত হলে দুদক চেয়ারম্যান তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
কমিশনের নব-নিয়োজিত শুভেচ্ছদূত সাকিব আল হাসানের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে কমিশনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন কমিশনের মহাপরিচালক(প্রতিরোধ) মোঃ জাফর ইকবাল।
দুদকের কার্যক্রমের সম্প্রসারণ ও গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, দুর্নীতিবিরোধী বার্তা অথবা মতাদর্শ ও চিন্তাধারা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মাঝে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই চুক্তি সম্পাদন করা হয়।
এই চুক্তি অনুসারে শুভেচ্ছাদূত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জণগনকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত থাকবেন। শুভেচ্ছা দূত তরুণ সমাজের মধ্যে শুদ্ধাচার চর্চা, দেশপ্রেম, সততা, নিষ্ঠাবোধ, ন্যায়পরায়ণতা ও নৈতিক চরিত্র গঠনে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা প্রদান করবেন এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে জনগনের সম্পৃক্ততাকে উৎসাহিত করবেন। সততা স্টোর, গণশুনানি, সততা সংঘ, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান ও মানববন্ধন সহ দুর্নীতি দমন কমিশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের সম্প্রসারণ ও গতিশীলতা আনয়নে উক্ত কার্যক্রমসমূহের প্রচারণা কাজে সহায়তা করবেন। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুদকের দুর্নীতিবিরোধী বার্তা অথবা মতাদর্শ ছড়িয়ে দিবেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক সচিব ড. মোঃ শামসুল আরেফিন, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মোঃ জাফর ইকবাল প্রমুখ।