
‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন আমার এখতিয়ার, এখানে কেউ হস্তক্ষেপ করলে তা নগরবাসী মেনে নেবে না, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিশ্বাসী নই’ বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আইভী বলেন, ‘আমি হকারদের জন্য চারতলা মার্কেট করছি, সেখানে হকাররা যাবে। ফুটপাতে জনগণ হাঁটবে, এটা তাদের অধিকার।’
তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে কারো রাজনৈতিক বা পারিবারিক বিরোধ নেই। যেটা আছে, সেটি আদর্শগত, নীতিগত। সেখানেও আমি অনমনীয়।’
আইভি বলেন, ‘আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর সেবা করতে চাই। মেয়র হিসেবে আমি সকলের নেতা (লিডার)। আই অ্যাম এ লিডার, আই অ্যাম এ ফাইটার।’
তিনি বলেন, ‘আমি ভালো আছি। ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে আজ বাড়ি যাচ্ছি। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি, যারা আমাকে সশস্ত্র হামলা থেকে নিরস্ত্রভাবে রক্ষা করেছেন। সত্যের জয়, নৈতিকতার জয়কে কেউ হারাতে পারে না, নারায়ণগঞ্জবাসী প্রমাণ করেছে। আমাদের স্পিডকে কেউ পেছাতে পারবে না।’
এর আগে চিকিৎসাধীন আইভীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হাসপাতাল ছাড়ার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন। সোমবার রাতে ল্যাবএইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুঠোফোনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ল্যাবএইড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান লেনিন বলেন, মঙ্গলবার মেয়র আইভী হাসপাতাল ছাড়বেন। বাড়ি যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলন করবেন তিনি।
গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে মেয়র আইভী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গত ১৮ জানুয়ারি বিকালে মেয়র আইভী সিটি ভবনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই দিন বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এনে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে রাখা হয় নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ)। গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম।
দুই দিন পর্যবেক্ষণ শেষে গত ২০ জানুয়ারি রাত আটটার দিকে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় বলে জানান অধ্যাপক ড. বরেণ চক্রবর্তী। তিনি তখন সাংবাদিকদের জানান, স্ট্রোকের কারণে তার মস্তিষ্কের পেছনের অংশে ক্ষত হয়েছিল।
গত রবিবার সকালে মেয়র আইভীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে (আইসিইউ) থেকে কেবিনে নেয়া হয়।