
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের কলঙ্ক আড়াল করতেই বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির বিজভী।
শুক্রবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদে শনিবার ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় বিক্ষোভ সমাবেশে কর্মসূচী ঘোষণা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেকীন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি প্রমুখ।
এদিকে রাজধানীর পলন্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগে, বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিএনপির দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছিল, বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীই সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘এখানে বিএনপির সাংগঠনিক কোনও দুর্বলতা নেই। আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি পাইনি। তাই রাজনৈতিক কৌশলের কারণেই সমাবেশ করিনি। আগামীতে জনগণের পক্ষের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্রকে মুক্ত করা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে যে সংগ্রাম চলছে, তা অব্যাহত থাকবে।’
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে গণতন্ত্র হত্যাকারী দল, তার প্রমাণ বিএনপিকে আজকে সমাবেশ করতে বাধা দেওয়া। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত ও কলঙ্কিত নির্বাচনকে আড়াল করার জন্য বিএনপিকে আজ কর্মসূচি পালন করতে বাধা দেওয়ার নীতি অবলম্বন করেছে সরকার। ভোটারবিহীন সেদিনের নির্বাচন দেশে-বিদেশে কলঙ্কিত নির্বাচন হিসেবে গণ্য হয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে স্বীকৃতি মেলেনি বলে এ লজ্জা ঢাকতে বিএনপিসহ বিরোধী দলের কর্মসূচি দমন করতে সরকার নির্মম পন্থা অবলম্বন করছে।’
সারাদেশে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘পুলিশ আমাদের দলের নেতাকর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিচ্ছে।’