
গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও তার সমর্থকরা মামলা করতে খুব ওস্তাদ। অনেক কেস তারা তৈরি করে দিয়েছেন। যে কারণে নির্বাচন করতে দেরি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, অতি সত্বর গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন হবে। শিডিউল বানানো হয়ে গেছে। ইউনুস ও তার সমর্থকদের করা বিভিন্ন কেসের কারণে নির্বাচন করতে দেরি হয়েছে।
রবিবার সচিবালয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের লভ্যাংশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের সুবিধার্থে সরকারই চেয়েছিল চালের দাম বাড়ুক। তবে তা যে হারে বেড়েছে, এটা অসহনীয়। তবে চালের দাম বাড়ার কারণে কত শতাংশ দারিদ্র্যের হার বেড়েছে সেটা এখনই নির্ধারণ করা সম্ভাব নয় বলে তিনি মনে করেন। কিন্তু এটা সঠিক চালের দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষের অনেক অসুবিধা হয়েছে। আগামীতে উৎপাদন বাড়লে চালের দাম কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রবিবার অর্থমন্ত্রণালয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রতন কুমার নাগ ২০১৬ সালের লভ্যাংশের ৬ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক অর্থমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এসময় ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক বাবুল সাহা ও উপমহাব্যবস্থাপক মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন। এসময় অর্থমন্ত্রী গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মসূচির প্রশংসাও করেন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম একপ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সম্প্রতিক সময়ে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের ৫ লাখ ২০ হাজার মানুষ নতুন করে দরিদ্র্য হয়ে পড়েছে। এই প্রতিবেদনের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এগুলো তাৎক্ষণিক রিপোর্ট। এগুলো বিশ্বাস করা উচিত হবে না। গরীব লোক কমছে বা বাড়ছে- এটার জন্য অন্ততপক্ষে বছরখানেক দেখা দরকার। বছর শেষে কী হবে সেটা আমি জানি না। তবে চালের দাম বাড়ার কারণে অনেকের অসুবিধা হয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা চেয়েছিলাম চালের দাম কিছুটা বাড়ুক। তবে দামটা অনেক বেড়ে গেছে। আগে অনেক কম ছিল। সেটা ভালোই ছিল, কিন্তু ৫০ টাকার ওপরে ওঠে যাওয়াতে কিছু লোকের খুব অসুবিধা হয়েছে। এটা এখন নিয়ন্ত্রণে আসা দরকার। উৎপাদন বাড়লে আবারও দাম কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।