
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, গত ১০ বছরে কমপক্ষে ৭৫০ জন গণতন্ত্রকামী কর্মীকে গুম করেছে সরকারি বাহিনী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এ-সংক্রান্ত একটি পোস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এ অভিযোগ করেন।
বিএনপি নেত্রী টুইটারে বলেন, ‘২০১৩’র কাল ডিসেম্বরে ১৯ জন বিএনপি কর্মীকে গুম করা হয়েছিল, আজও তারা ফেরেননি। গত ১০ বছরে কমপক্ষে প্রায় ৭৫০ জন গণতন্ত্রকামী কর্মীকে গুম করেছে সরকারি বাহিনী। গুমের শিকার মানুষের সন্তান, পিতা-মাতা, স্ত্রীর কান্নার রোল থামছে না। এর অবসান চাই।
টুইটারের খালেদা জিয়া নিখোঁজ কয়েকজনের ছবি প্রকাশ করেছেন।
হাসিনাকে খালেদা জিয়ার উকিল নোটিশ
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সৌদি আরবে জিয়া পরিবারের সম্পদ নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি জিয়া পরিবার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেসব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন এসব অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু দু:খজনকভাবে তারা মুখে নানা কথা বললেও অভিযোগ প্রমাণে কোনো তথ্য উপস্থাপন করতে পারেননি। তাই আমরা আমাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি।
সুপ্রীম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গত মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এরপর কম্বোডিয়া সফর শেষে ফিরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক এই প্রসঙ্গটি তুললে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে কথা বলেন।
এ সংক্রান্ত খবর দেশের আরও অনেক সংবাদ মাধ্যমে না আসায় তিনি গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মালিক-সম্পাদক, সাংবাদিকরা কোনও সুবিধার বিনিময়ে এধরনের খবর প্রকাশ করা থেকে বিরত থেকেছেন কি-না সে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উকিল নোটিশে বলা হয়েছে, ওই বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নি:শর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং তা সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে তা করা না হলেও ক্ষতিপূরণের মামলা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।