
খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী সদরের কালীবাড়ী চামড়া হাট তার চির ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। শত বছরের পুরনো হাটটি হাটুরে-ব্যাবসায়ি ও পথচারিদের মাঝে এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
ঠিক যেন কোন স্রোতস্বিনি নদীর এপার-ওপার। অতিতের যেকোন সময়ের তুলনায় হাটটি লাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তি ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও বিরাজমান অবস্থার স্থায়ি কোন উন্নতি ঘটেনি। প্রতিবছর হাটটি কোটির্ধ্ব অর্থের বিপরিতে ইজারা প্রদান করা হয়ে থাকে। ইজারালব্ধ অর্থ থেকে উপজেলা পরিষদ প্রতিবছর’ই অপরিকল্পিত যত সামান্য উন্নয়নের কাজ করলেও তা কেবল শুধু লোক দেখানো। যা কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে হাটুরে ভূক্তভোগিদের মাঝে দেখা দেয় মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হিসাবে। বিগত মাসাধিক সময় ধরে অনুপযোগি হাটটি চলাচলের উপযোগি করার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
সপ্তাহের প্রতি বুধ ও শনিবার দু’দিন হাট ছাড়াও বাকী ৫দিন সকাল-বিকেল নিয়মিত হাট বসে আসছে। গত শনিবার ছিল সাপ্তাহিক হাটবার। এদিন দুপুর থেকে কালবৈশাখির প্রচন্ড ঝড়ের সাথে বাতাসের গতিবেগ ছিল উল্লেখ করার মত।
নিষ্কাশনের কোন পথ না থাকায় প্রবল বৃষ্টির পানি জমে যায়। ফলে হাটের মূলস্থল ভাগসহ সব কয়েকটি প্রবেশপথ পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। জলাবদ্ধতায় পুরো হাট ও রাস্তাসমূহ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
রংপুর-বগুড়া মহাসড়ক থেকে জনতাব্যাংকের সামনে এস.এম হাইস্কুলের পাশ দিয়ে বাজারের সংযোগ রাস্তাটি সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। করুন পরিস্থিতিতে হাটে প্রবেশ করাই যেন দুরুহ।
এ সুবাদে হাটটি’তে হাটুরেসহ সর্বস্তরের সাধারণের প্রবেশদ্বার সমূহে নদীর এপার এবং ওপার পারাপারের ন্যায় নৌকার স্থলে রিক্সা-ভ্যান মোতায়েন করা হয়েছে। প্রবেশপথ সমূহ পানিতে টই-টম্বুর। এসব প্রবেশদ্বার সমূহের ধারে তিঁলমাত্র ঠাই নেই হাটে প্রবেশ করার মত।
পরিস্থিতি এমনি দুর্বিসহ পর্যায় পৌঁছছে। যে একান্ত অথবা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া হাটে কেউ প্রবেশ করছেন না।
ফলে হাটে অবস্থিত সকলস্তরের ব্যাবসায়িদের বেচা-কেনা বিহীন হাত গুটিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। বিরাজমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে ভূক্তভোগি মহল জেলা প্রশাসকের আবারো জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।