
নাটোরে স্বামী- স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তাদের নাম আব্দুস সোবহান (৭০)ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৬০)। এ ঘটনায় তাদের দুই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শনিবার রাতে লালপুর উপজেলার কদমচিলান ইউনিয়নের ধলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, লালপুর উপজেলার ধলা গ্রামের সোবহান প্রামানিক ও তার স্ত্রী মানিকজান শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে হঠাৎ দু’জনে বমি করতে শুরু করলে সন্তানরা তাদের মেডিকেলে নেয়ার চেষ্টাকালে সোবহান বাড়িতে ও পথিমধ্যে মানিকজানের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে লালপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
মৃতদের ছেলে নওশাদ বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় মা-বাবা রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ রাত ১০ টার দিকে চিৎকার শুনে এসে দেখি দুজনেই বমি করছে। বাবা বাড়িতেই মারা যান, মাকে মেডিকেলে নেবার পথে পথিমধ্যে মারা যায়। মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে জানান, সঠিক বলতে পারবো না। তবে বমি ও গন্ধে মনে হচ্ছে তাদের খাবারে কোন সমস্যা ছিলো।
তবে স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছে খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারনে তাদের মৃত্যু হয়েছে, আর এ কাজের জন্য তাদের পুত্রবধূ দায়ী।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আবু ওবায়েদ জানান, ওই দম্পতি শনিবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমোতে যান। এসময় সোবহানের বুকে ও পেটে ব্যথ্যা হচ্ছে বলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি বমি করতে থাকেন। স্বজনেরা তাকে চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে স্ত্রী শেফালীও বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।
ওসি আরো বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের সন্তানদের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এর আগে ছেলেদের নামে থানায় জিডিও করেছিলেন সোবহান। মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তাদের দুই ছেলে নওশাদ (৪৮) ও আবু তালেবকে (৪২) জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে মৃতদের ছেলে নওশাদ বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।